কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
‘বেউর থেকে বলছি’-ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে ভারী গলায় এই শব্দ শুনলেই অনেক ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতদিন ব্যবসায়ীদের মুখে তাকে নিয়ে আতঙ্কের কথা শোনা যেত। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর কলকাতায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করার পর থানায় অভিযোগ জানাতেই যেতেই এই ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে কে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অভিযোগ, এভাবেই বেউর জেলে বসে বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, সহ সাত রাজ্যে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করেছে সুবোধ। এহেন ‘যমদূত’ই আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল সংশোধনাগারে সুবোধের ‘রিক্রুটমেন্ট সেল’ চলে। শিল্পাঞ্চলে অপরাধ করে সংশোধনাগারে আসা ডাকাবুকো ছেলেদের নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নেয় সুবোধের শাগরেদরা। সেই টিমের বসই এখন আসানসোলে। সেকারণে জেল কর্তৃপক্ষের কার্যত শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বইছে। বস আসছে জেনে সংশোধনগারে বন্দি তার শাগরেদদের মধ্যে খুশির হাওয়া। সোমবার সংশোধনাগার থেকে যেভাবে পরিপাটি সাজে বেরিয়েছিল সুবোধ তাতে খাতিরের যে অভাব হয়নি তা স্পষ্ট। এই অবস্থায় তাকে নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। কারণ এখানে শুধু সুবোধ গ্যাং নয়, বিহারের আর এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন সোনা ও তার টিমও আছে জেলবন্দি অবস্থায়। এছাড়াও একাধিক ছোট গ্যাং ছিল যা সুবোধের গ্যাংয়ের দাপটে গুটিয়ে গিয়েছে। তারা সুবোধকে হাতের কাছে পেলে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। সেদিকেও নজর রাখতে হবে কারারক্ষীদের।
সুবোধের গ্যাংয়ের সদস্যরা অত্যন্ত বেপরোয়া। সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী তো দূরে থাক, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিসের সঙ্গেও তারা গুলিযুদ্ধে পটু। এহেন গ্যাংয়ের বস আসানসোলে বন্দি। তাকে ছাড়ানোর কোনও অভিযান হবে না তো! ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিস। আসানসোল জেলের উত্তর প্রান্তে পুলিস লাইন, পশ্চিম দিকে মহিলা থানা। দক্ষিণ দিকে কোর্ট ও মহকুমা শাসক কার্যালয়। এমনিতেই হাই সিকিউরিটি জোন। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। সর্বক্ষণের জন্য নজর রাখছে সিআইডিও। তদন্তকারী অফিসাররা বিলক্ষণ জানেন, সুবোধকে দ্বিতীয়বার হাতের নাগালে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।