উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) দীপক সরকার বলেন, দু’দিন আগে একটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ ভক্তিনগর থানায় জমা পড়ে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরে ছিঁচকে চোর ও হাতসাফাই গ্যাংয়ের উপদ্রব অনেকদিনের। মাঝেমধ্যেই ঘরের জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে চুরি করে দুষ্কৃতীরা। কিংবা সোনার গয়না পরিষ্কারের নামে হাতসাফাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, এবারই প্রথম ভিক্ষুকের বেশে চুরির ঘটনা ঘটল শহরে। পুলিস সূত্রের খবর, ৩০ জুন জ্যোতিনগরে একটি আবাসনের নীচতলার একটি ফ্ল্যাটে ভিক্ষা চাইতে গিয়ে লুটপাট চালায় এক তরুণী। ১ জুন ফ্ল্যাটের মালিক ঘটনাটি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। ফ্ল্যাটের মালিক পুলিসকে জানিয়েছেন, দুপুরে ঘরে একাই ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই সময় শিশু কোলে নিয়ে ঘরের সামনে আসে এক তরুণী। গায়ের রং কালো। পোশাক নোংরা। তখন তাকে ভিক্ষা দিয়ে স্ত্রী রান্না ঘরে যান। ঘরের দরজা খোলা ছিল। সেই সময় ঘরে ঢুকে সোনার গয়না নিয়ে ওই তরুণী চম্পট দেয়। ভিক্ষুকের বেশে ওই তরুণী এমন ঘটনা ঘটাবে তা অকল্পনীয়।
ভক্তিনগর থানার পুলিস অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিস সূত্রের খবর, ১ জুলাই অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই আবাসন চত্বরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তাতে ওই তরুণীর ছবি ধরা পড়ে। ওই দিন থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসকন মন্দির রোডে অভিযুক্তকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেই মতো সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এরপর তার ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে গলার চেন, দু’টি আংটি, নথ, মাথার চূড়া প্রভৃতি গয়না উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত তরুণী বানজারা গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিসের ধারণা। পুলিস জানিয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে আরও কয়েকজন রয়েছে। এরা যাযাবরের মতো বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিছুদিনের জন্য তাঁবু খাটায়। বাচ্চাদের সামনে রেখে ভিক্ষে করার পাশাপাশি চুরি, পকেটমার, হাতসাফাইয়ের অপারেশন চালায়। এভাবে কিছুদিন থাকার পর তারা আবার জায়গা বদল করে। কাজেই ধৃত তরুণীর সঙ্গীরা কোথায় রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।