উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তথা জেলা ভূমি সংস্কার আধিকারিক দেবাহুতি ইন্দ্র বলেন, মালদহে জলাশয় ভরাটের ঘটনা ঘটছে। এর আগে বেশকিছু জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ভরাট হওয়া জলাশয়গুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। এব্যাপারে ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসকের সংযোজন, জলাশয় থেকে বাস্তু হিসেবে চরিত্র বদল হওয়া জমিগুলিকে নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না। সব অভিযোগ তদন্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
ভূমিদপ্তর দীর্ঘদিন ধরেই ঘুঘুর বাসা হয়ে ছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী একসময় ওই দপ্তরের সমালোচনা করেছিলেন। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা বদল হলেও পুরোপুরি দুর্নীতি মুক্ত হয়নি। অভিযোগ, ওই দপ্তরের একাংশ উৎকোচ ছাড়া কোনও কাজ করে না। নজরানা না দিলে দীর্ঘদিন ধরে আবেদনকারীর কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই সুযোগে জমি হাঙররা নিজেদের কার্যসিদ্ধি করছে। তারা প্রথমে জলাশয় কমদামে কিনে নিচ্ছে। তারপর তা ভরাট করে জমির চরিত্র বদল করে দেওয়া হচ্ছে। তখন প্লট করে বিক্রি করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। চড়া দামে ওই জায়গা বিক্রি করে তারা মুনাফা লুটছে। লাভের টাকার ভাগ ভূমিদপ্তরের দুর্নীতিপরায়ণ কর্মী-আধিকারিকদের তারা দিচ্ছে। তার বিনিময়ে জমির চরিত্র বদল বা স্থানীয়দের অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ার মতো কাজ কর্মী-আধিকারিকরা সমানে চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা ভূমিদপ্তর বিষয়টি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে। মালদহে জমির দাম দিনদিন হু হু করে বেড়ে চলেছে। ফলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমির চরিত্র বদল বা হস্তান্তর হলে একদিকে যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়, পাশাপাশি রাজ্য সরকারের রাজস্বেরও ক্ষতি হয়। বিএলএলআরওদের একাংশও একসময় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কয়েকবছর আগে অভিযোগ ওঠায় জেলার কয়েকজন বিএলএলআরওকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। কারও কারও বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরুরও সুপারিশ করা হয়। এবারও কর্মী-আধিকারিকদের উপর নজর রাখা হয়েছে। কেউ যাতে অসাধু উপায়ে জমির চরিত্র বদল করতে না পারেন তা দেখা হচ্ছে বলে জেলা ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সামগ্রিক ঘটনার উপর জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরাও নজর রাখছেন।