কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
জেলার মুখ্য কৃষি অধিকর্তা প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সামান্য জমি থাকলেই প্রকল্পের সুবিধা যে কেউ নিতে পারেন। কিন্তু পিএম কিষান যোজনায় পরিবারের প্রধান একজনই সুবিধা পান। জেলাজুড়ে একই পরিবারের একাধিক সদস্য এতদিন এই সুবিধা নিয়েছেন। আমরা সেই তালিকা তৈরি করছি। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে চিঠি দিয়ে টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি সেই পরিবার প্রকল্পের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে।
পিএম কিষান যোজনায় কৃষকদের বছরে তিনটি কিস্তিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০০০ টাকা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত রয়েছে। পরিবারের প্রধান প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি তাঁর ছেলে আলাদাভাবে বসবাস করেন সেক্ষেত্রে তিনিও আবেদন জমা দিতে পারবেন। সেই আবেদন কৃষিদপ্তরের তরফে যাচাই করে সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষিপ্রধান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পিএম কিষান যোজনায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার উপভোক্তা রয়েছেন। বহু কৃষক প্রকল্পের সুবিধা নিতে স্ত্রী, ছেলে সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে জমি লিখে দিয়ে রেকর্ড করিয়ে আবেদন করেন। একইভাবে বাংলা কৃষক যোজনায় আবেদন করে পরিবারের একাধিক সদস্য সুবিধা নিয়ে চলেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের প্রকল্পের সুযোগ নিতে এই কৌশল করেছেন একাংশ কৃষক। তবে এবারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কড়া পদক্ষেপ নিতে কৃষিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের যদি একাধিক সদস্য পিএম কিষান যোজনার সুবিধা নিয়ে থাকেন তবে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে। পাশাপাশি আবেদন করার পরে প্রকল্পের যত টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে তা ফেরত দিতে হবে। এই নির্দেশ পেতেই জেলা কৃষিদপ্তর সার ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে, যদি তাঁদের এলাকায় এমন পরিবার থাকে তবে তাঁরা যেন দ্রুত সেই তথ্য দপ্তরে জমা দেন। পাশাপাশি দপ্তর থেকেও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চিহ্নিত করে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।