কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
মালদহে জনঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে দিনদিন বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। সেই কারণে শহর ও গ্রামীণ এলাকা বাড়ছে। ব্যাঙের ছাতার মতো নতুন নতুন জনপদ গজিয়ে উঠছে। তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের বাড়িঘর। এজন্য প্রয়োজন পড়ছে জায়গার। জমি হাঙরদের নজরে পড়ছে জলাশয়গুলি। এতদিন ইংলিশবাজার শহর ও আশপাশের জল চাতরা বিল হয়ে মহানন্দা নদীতে পড়ত। সেই চাতরা বিলও ভরাট করা হচ্ছে। ফলে আগামী দিনে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন। এতদিন দিনের আলোয় ট্রাক্টরে মাটি সহ অন্যান্য সামগ্রী এনে জলাশয়ে ফেলা হতো। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পারতেন। তাঁদের অনেকেই প্রকাশ্যে হয়তো প্রতিবাদ করতে পারতেন না। তবে পুলিস, ভূমি সংস্কার দপ্তর বা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে দিতেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তারপর পদক্ষেপ গ্রহণ করত। বিষয়টি বুঝতে পেরে জমি মাফিয়ারা পন্থা বদলে ফেলেছে।
বর্তমানে কীভাবে চলছে জমি ভরাটের কাজ? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখন আর ঘটনাস্থল পর্যন্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর নিয়ে জমি ভরাটকারীরা যাচ্ছে না। তারা কিছুটা দূরে ট্রাক্টরের ট্রলি থেকে মাটি নামিয়ে নিচ্ছে। সেখান থেকে তা ভ্যানে করে নিঃশব্দে জলাশয়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। কখন ভরাটের কাজ বেশি হচ্ছে? উত্তরে মালঞ্চপল্লির এক বাসিন্দা বলেন, রাতের অন্ধকারকেই জমি মাফিয়ারা কাজে লাগাচ্ছে। তারা রাত ১০টার পর থেকে কাজ শুরু করছে। চলছে ভোরের আলো ফোটার আগে পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে জলাশয়ের চারপাশ টিন দিয়ে উঁচু করে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। তারপর চলছে ভরাট।