গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে মাছচাষিরা পুকুর ও জলাশয়ে পোনা ছাড়েন। তাই বছরের এই সময়ের জন্য মাছের পোনা বিক্রেতারা অপেক্ষা করে বসে থাকেন। শীতলকুচি ব্লকে অনেকেই মাছের পোনা বিক্রি করে স্বনির্ভর হয়েছেন। মাছচাষিদের এই পোনা বিক্রি করে ভালো আয়ও হয়। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে নৈহাটি, গঙ্গারামপুর থেকে মাছের পোনা আড়তে আনা হয়। ছোট ছোট জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। সেখান থেকেই মাছের পোনা বিক্রি করেন তাঁরা। কিন্তু, বৈশাখ মাসে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় মাছের পোনার চাহিদা তলানিতে ঠেকেছে। লোকসানের আশঙ্কায় বিক্রেতারা সেভাবে পোনা ও চারা আনতে পারেননি। এই পরিস্থতিতে কীভাবে সংসার চলবে, তা ভেবে ঘুম ছুটেছে তাঁদের। মাছের চারা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির অভাবে পুকুরগুলিতে জল নেই। তাই মাছচাষিদের মধ্যে চারা ও পোনা কেনার তেমন চাহিদা নেই। সারাবছর অন্য কাজ করে আমরা সংসার চালাই। বছরের এই সময়ে বাড়তি আয়ের আশায় মাছের চারা বিক্রি করি। বৃষ্টি হলে এই পর্যন্ত কয়েক কুইন্টাল মাছের চারা বিক্রি হয়ে যেত। কাঞ্চন বর্মন নামে এক চারা বিক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছরগুলিতে এই সময়ে মাছের চারা বিক্রি শুরু হয়ে যেত। কিন্তু, এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। পুকুরগুলির জল শুকিয়ে গিয়েছে। তাই, মাছ চাষিরাও মাছের চারা কিনতে আসছেন না। সেজন্য আমিও আড়তে মাছের চারা তুলিনি। কবে বৃষ্টি নামবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।