বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এই সেতুর উপর দিয়ে চাঁচল-২ ব্লকের গৌড়হন্ড অঞ্চল, ধানগারা-বিষণপুর অঞ্চল ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মশালদহ অঞ্চলের লোকজন যাতায়াত করেন। সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় জলের তলায় চলে যায়। বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরে রেলিংয়ের অধিকাংশই ভেঙে পড়ে। এই রেলিং ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে এলাকার বাসিন্দারা যেমন যাতায়াত করছেন তেমনি ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদেরও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দু’টি ব্লককে সংযুক্তকারী এই বারমাসিয়া নদীর উপরের এই সেতু অতিক্রম করে চাঁচল-২ ব্লকের ধানগারা-বিষণপুর অঞ্চল ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মশালদহ অঞ্চলের বাসিন্দাদের চাঁচল মহকুমা অফিসে ও মালতীপুরে প্রশাসনিক কাজে যেতে হয়। এই রেলিং বিহীন সেতু থেকে পড়ে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু মুর্মু, নাজমুল হক প্রমুখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই জরাজীর্ণ সেতুর রেলিং ভেঙে পড়ে আছে। অথচ সংস্কার করার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। এছাড়াও বারমাসিয়া নদীর উপরে রেলিং বিহীন আরও একটি সেতু আছে। যেটি একটি মাদ্রাসা ও বাজারের নিকটে অবস্থিত। একেবারে ইউ টার্ন নেওয়া এই সেতুতে শুরু থেকেই কোনও রেলিং নেই। এই সেতুর উপর যাতায়াত করা আরও বিপজ্জনক। এই সেতু অতিক্রম করে গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত, আলাদিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। সেটি সদরপুর হয়ে চাঁচল সদরে যাওয়ার জন্য এই সেতু অতিক্রম করতে হয়। এই প্রসঙ্গে এলাকার ১৬ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য তথা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, এই দুটি সেতু সত্যিই খুব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সেতুর রেলিং নির্মাণ করার জন্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সেতু সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।