বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এ জন্য বুধবার ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায়। ওএসডি’র পরিদর্শনের সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা সহ জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্তারা।
ওএসডি পরে বলেন, আমরা আগেই সাধারণ মানুষকে বলেছি এ বছর উৎসবটা বাদ দিয়ে শুধু পুজোটা করুন। উৎসব আগামী বছরে করবেন। কিন্তু স্বাস্থ্যদপ্তরের এই সতর্কবার্তা অনেকেই কানে তোলেননি। পুজোয় করোনা সংক্রান্ত অনেক অনিয়ম হয়েছে। এই অনিয়মের জন্য এবার করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা আমরা করছি। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ওই গ্রামীণ হাসপাতালটিতে বেড ও অন্যান্য পরিকাঠামো সবই আছে। শুধু চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ানো হবে।
মার্চে কোভিড পরিস্থিতি সামনে আসার পর আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়। সেখানে বর্তমানে ১১৪টি বেড আছে। ওই কোভিড হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটেও ১০টি বেড রাখা আছে। করোনা চিকিৎসার যা যা পরিকাঠামো দরকার তার সবই আছে তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালে। এবার জেলায় দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল করা হচ্ছে ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালটিকে। প্রসঙ্গত, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির পর ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, পুজোর জন্য সংক্রমণ কতটা বাড়ল তা জানতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন, ট্রুন্যাট মেশিন ও আরটিপিসিআরে জেলায় করোনা টেস্টের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আরটিপিসিআরে ও অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে জেলায় রোজ ১০০০টি করে টেস্ট করার টার্গেট ধরা হয়েছে। এই অভিযান শেষ হলেই জানা যাবে পুজোর সময়ে জেলায় সংক্রমণ কতটা বাড়ল। এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুসারে ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২৭৩ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭৫৫ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় করোনার ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের।