বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর পরিতোষ ঘোষ বলেন, জাতীয় সড়কের ধারে পাথর বসানোর ফলে পথচলতি মানুষের প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মাঝেই চলতে গিয়ে অনেকে পড়ে যাচ্ছেন। সেগুলি অবিলম্বে তুলে ফেলা উচিত।
পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, শহরে জাতীয় সড়কের দু’ধারে পাথর বসানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রচুর মানুষ জখম হয়েছেন। এনিয়ে বহুবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তারা কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই পুরসভার তরফে আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে শেষবারের মতো অবগত করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদেরও জানানো হয়েছে। দ্রুত পাথর তুলে বিকল্প ফুটপাতের ব্যবস্থা না করলে অনেকে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এবিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের (মালদহ ডিভিশন) ডেপুটি ডিরেক্টর দীনেশকুমার আনসারিয়া বলেন, পাথরের সমস্যা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই চিঠি পেয়েছি। পরে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের প্রোসেসিংয়ে রয়েছে।
শহরবাসীর আরও অভিযোগ, ওই পাথরের জন্যই শহরের প্রাণকেন্দ্রে জল জমে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থাও বাধার সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিকভাবে পুর এলাকার নাগরিকরা সমস্যায় পড়ায় পুরসভাও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
পুরাতন মালদহ শহরের তৃণমূলের নেতা মনোতোষ দাস বলেন, জাতীয় সড়কের দু’ধার দিয়ে চলা দায় হয়ে উঠেছে। ওই পাথরের জন্য এলাকায় জল জমে থাকছে। মনেই হয় না যে আমরা শহরে বসবাস করছি।
মঙ্গলবাড়ি গৃহবধূ হেমলতা দাস বলেন, গত কয়েক বছরে শুনেছি এই সমস্যায় ওই রাস্তায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। ছোট বড় দুর্ঘটনাও বহুবার ঘটেছে। তার কোনও পরিসংখ্যান নেই।
পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি ব্রিজ থেকে রেলগেট পর্যন্ত জাতীয় সড়কের দু’ধারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ছোট ছোট পাথরের টুকরো বসিয়ে ফুটপাত তৈরি করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই পাথরের উপর জল জমলেই পা পিছলে যাচ্ছে। চলন্ত মোটর বাইকের চাকাও পিছলে যাচ্ছে। এলাকায় পাথর তুলে দেওয়ার জন্য বাসিন্দারা জোরালো আওয়াজ তুলতে থাকেন। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ না করায় বাসিন্দা মহলে ক্ষোভের পারদ চড়েছে। বেশ কিছু এলাকায় পাথর উঠে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। সেগুলিতে বৃষ্টির জল জমে পুকুরের আকার ধারণ করেছে। ফলে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।