বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, পশ্চিম গঙ্গাসাগর এলাকায় খাঁড়ির ধসের কথা শুনেছি। ওই এলাকাটি অনেকদিন আগে জয়েন্ট বিডিও পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। সেখানে ধস রোধে পাড় বাধিয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
জেলা সেচ দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের ওই এলাকার ধসের কথা শুনিনি। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব। স্থানীয় বাসিন্দা নীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে এই খাঁড়িটি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিল। ক্রমে অনেকটা জায়গা খাঁড়ির গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এভাবে আর কিছুটা দূর এগোলেই আমাদের বাড়িঘরও তলিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এলাকার বহু গাছগাছালি খাঁড়ির গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা এখন আতঙ্কে ভুগছি। দ্রুত এই এলাকা বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।
আরও এক নিবারণ সাহা বলেন, আমার জমির অনেকটা অংশ খাঁড়ির গর্ভে চলে গিয়েছে। এবছর প্রায় ২০ মিটার অংশ ধসে গিয়েছে। পঞ্চায়েতে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এখনই এখানে বাঁধ না দিলে আগামী দিনে এলাকার সব বাড়িই জলে চলে যাবে। তবুও কারও হুঁশ নেই। এর আগে পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও মিলে এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও আজ অবধি কিছুই হল না।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের পশিম গঙ্গাসাগর এলাকা দিয়ে আত্রেয়ী নদীর একটি খাঁড়ি বয়ে গিয়েছে। সেটিই কাশিয়াখাঁড়ি নামে পরিচিত। সেখানে ওই খাঁড়ির একটি অংশেই ধস নামছে। প্রায় তিন বছর ধরে সেখানকার পাড় ধসে জলের তলায় চলে যাচ্ছে। বাড়ি তো তলিয়ে গিয়েছেই, সেইসঙ্গে আমগাছ, বাঁশঝোপ সহ আরও বেশ কিছু গাছপালাও খাঁড়িতে গিয়ে পড়েছে। বর্তমানে খাঁড়িটি যেখান দিয়ে বইছে, তার সামান্য দূরেই সারি সারি প্রায় ২০-২৫টি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িগুলির বাসিন্দারা এখন ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন।