বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুর কর্তৃপক্ষ মানতে না চাইলেও আবর্জনা সাফাই নিয়ে সমস্যার কথা কিন্তু কার্যত মেনে নিচ্ছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলররাই। পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর নৃপেন পাল বলেন, ওয়ার্ড পরিষ্কারের কাজ প্রতিদিনই হয়। তবে সাফাই কর্মীর সংখ্যা খুব কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আগে থেকেই সুইপার ও সুপারভাইজারের সংখ্যা খুব কম। আমরা সমস্যার কথা পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পর্যাপ্ত সংখ্যায় সাফাইকর্মী থাকলে আর সমস্যা হবে না। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য চন্দনা হালদার বলেন, পুজোর পরে ওয়ার্ডে সাফাই হচ্ছে না বলে আমাদের কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
পুর প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, বিজয়া দশমী উপলক্ষে সাফাইকর্মীদের ছুটি ছিল। তাছাড়া রবিবার বাদে বাকি দিনগুলিতে তাঁরা ঠিকঠাকই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। সাফাই প্রতিদিনের কাজ। নাগরিকদের যাতে সাফাই নিয়ে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কোনও ওয়ার্ডে যদি সাফাই কাজ থমকে থাকে, তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখব। পুরাতন মালদহ শহরের কুড়িটি ওয়ার্ড রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১ থেকে ২০ নম্বর, সব ওয়ার্ডেই কমবেশি সাফাইয়ের সমস্যা রয়েছে। পুজোর আগে নিয়মিত সাফাই হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পুজোর পর থেকে সমস্যা হচ্ছে। এমনিতেই পুরসভার অফিসে পুজো উপলক্ষে ছুটি চলছে। সেই সুযোগে অনেক সুপারভাইজার ঠিকঠাক নজরদারি করছেন না বলে অভিযোগ। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে শহরের বাসিন্দাদের। ১ থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গলিগুলি সুষ্ঠুভাবে পরিষ্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এছাড়াও ৮, ১২, ১৫, ১৭, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাফাই পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ওই সমস্ত ওয়ার্ডের নিকাশি নালায় আবর্জনা জমে থাকছে। ফলে নিকাশি ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে সেখানে জঞ্জাল জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরাতন মালদহ শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পলাশ হালদার বলেন, শহরের যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পুজোর সময় দু’-একদিন ব্লিচিং ছড়িয়ে সাফাই হয়েছিল। পুজোর পরে তিন দিন হতে চলল। আর পরিষ্কার করার কোনও বালাই নেই। পুজোর সময় মণ্ডপগুলির সংলগ্ন এলাকায় যেসব আবর্জনা জমেছে, সেসব সাফাইয়েরও নাম নেই।