বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজারে এতদিন নজরদারি চালানো সম্ভব হয়নি। উৎসবপর্ব মিটলেই আমরা ফের অভিযানে নামব। তবে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার রুখতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের কারণে গ্রামের নালা, নর্দমা ভরে যাচ্ছে। এতে জল নিকাশি ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে। বর্ষায় বিভিন্ন এলাকা এ জন্য ভাসছে।
ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, আমরা চাইছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বিরোধী অভিযান নিয়মিত চালানো হক। আমরা ব্যবসায়ী সমিতি সবসময়ে এ ব্যাপারে প্রশাসনের পাশে আছি। তবে বর্তমানে বাজারের যে পরিস্থিতি তা প্রশাসনের নজরদারির অভাবের কারণেই হয়েছে। যারা এমনটা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এ ক্ষেত্রে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ওই ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ব না।
রামশাই কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ক্ষতিকারক দিকগুলি সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানেন। তবুও অনেকেই এর ব্যবহার করছেন। আসলে প্লাস্টিক মাটিতে মিশে যায় না। নালায় পড়ে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে দেয়। প্লাস্টিক পুড়িয়ে দেওয়া হলে তা থেকে বেঞ্জিন জাতীয় পদার্থ বাতাসের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তা বৃষ্টি হয়ে চাষের জমিতে এসে পড়লে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। চাষের জবির ঊর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই কারণে আমাদের এখন থেকেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষে আরও সচেতন হতে হবে।