বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পিকনিকের এই মরসুমে গৌড়বঙ্গের সিংহভাগ বনভোজনপ্রিয় পর্যটকদের গন্তব্য হয়ে ওঠে জেলার গাজোল ব্লকের আদিনা। আদিনা ডিয়ার পার্ক সংলগ্ন এলাকা পিকনিক স্পট হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। ওই এলাকায় পরিবেশ দূষণ এড়াতে উদ্যোগী হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকনিকের স্থানে থার্মোকলের পাতা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পিকনিকের মরসুমের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে বনভোজনের স্থানে শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। পর্যটকেরা যেন থার্মোকল পাতা ব্যবহার না করেন এই জন্য তাঁরা নজরদারি ও প্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়াও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব শাল পাতা ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে,স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই পর্যটকদের সুবিধার জন্য ওই শিবির থেকে শাল পাতা বিক্রি করছেন। পঞ্চায়েতের দাবি এর ফলে তাঁরাও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। সেইসঙ্গে বনভোজনপ্রেমীদেরও সুবিধা হবে।
এই উদ্যোগকে সব মহলই সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে পঞ্চায়েতের বিরোধী শিবিরের কথায়, ওই বনভোজনের স্থানে ইতিউতি অনেক আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সেগুলি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়াও সেখানে পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের বসার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই ওই স্থানের সৌন্দর্যায়নের জন্য বসার শেড সহ নানা পরিকল্পনা যাতে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত বলে দাবি তুলেছে বিরোধীরা।
যদিও তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পিকনিকের মরসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই স্থান পরিষ্কার করে দেওয়ার কাজ হয়ে গিয়েছে। সৌন্দর্যায়নের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে সেসব কাজই করা হবে।
পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সোনিয়া হেমব্রম বলেন, এই মরসুমের পিকনিক শুরু হওয়ার আগেই আমরা ওই স্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি। এছাড়াও দূষণ এড়াতে বনভোজনপ্রেমীদের থার্মোকলের পাতা ব্যবহার না করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রচারের জন্য মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বলা হয়েছে সেখানে শিবির করে সকলকে বোঝাতে হবে। পাশাপাশি সেইসব মহিলারাই নজরদারিও চালাবেন। কেউ থার্মোকলের প্লেট নিয়ে এলে তা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। শালপাতা ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছেই মিলবে শালপাতা। আর এই বনভোজনের স্থানে বসার ব্যবস্থা করা সহ সৌন্দর্যায়নের জন্য পরবর্তীতে ভাবা হবে।
পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা বিজেপির সুনীল মার্ডি বলেন, পিকনিকের মরসুমে অনেকেই আসেন আদিনায়। পঞ্চায়েতের উচিত আগে ওই এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, যাতে পিকনিক করতে এসে জায়গা নিয়ে কারও কোনও সমস্যা না হয়। বছরে একদিন তাঁরা আনন্দ খুঁজে নিতে আমাদের গ্রামে আসেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।