বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসার ইনচার্জ সুচেতনা দাস বলেন, চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসাথীর আওতাভুক্ত করার জন্য রাজ্যে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা শীঘ্রই ওই চিঠি পাঠাব।
২০১৬ সালে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচলক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসাবাবদ সহায়তা পাওয়া যায়। প্রাণীবন্ধু, সিভিল ডিফেন্স কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, এনভিএফ, হোমগার্ড, কেবল অপারেটর, আশাকর্মী সহ সরকারি ও চুক্তিভিত্তিক একাধিক রাজ্য সরকারি কর্মচারী এই প্রকল্পের সুবিধা পায়। সম্প্রতি রাজ্য সরকার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার উপভোক্তাদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছে। ফলে বিপিএল তালিকাভুক্ত যাঁদের আরএসবিওয়াই ছিল তাঁরাও এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় শেষ প্রশাসনিক বৈঠকে জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তারপরেই জলপাইগুড়িতে এই প্রকল্পের আওতাভুক্তদের নাম নথিভুক্ত করার তোড়জোড় শুরু হয়। গতবছরই জেলায় ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ১২৭ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের উপভোক্তার নাম তোলা হয়। তাদের হাতে কার্ড বিলির কাজ এখন চলছে। আগস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৩৩ জন উপভোক্তাকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের কার্ড দেওয়ার কাজ চলছে। এই মাসেই সমস্ত কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় জেলা প্রশাসন। তাই জেলার সাতটি ব্লকেও আলাদা করে বৈঠক করা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বৈঠক করে কার্ড দেওয়ার গতি আনা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কার্ড বিতরণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে নদীর চর এলাকায় বসবাসকারী অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই কাজের সন্ধানে তাঁরা বাইরে চলে গিয়েছেন। নয়তো কেউ অন্যত্র বসবাস শুরু করেছেন। চা বাগান এলাকায় কাজের দিনে কার্ড নিতে আসছেন শ্রমিকরা। অনেক শ্রমিকের পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় আসছে না। কিন্তু আর্থিক কারণে তাঁরা চিকিৎসা করতে গিয়ে সমস্যা পড়ছেন। তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় এলে লাভবান হবেন। জেলায় লক্ষাধিক চা শ্রমিক আছেন। তাঁদের অনেকেই রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়াতে স্বাস্থ্যসাথীর মধ্যে পড়েননি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যও অনেক পরিবারে তাতে নেই। তাই সমস্ত চা শ্রমিকদের এই আওতাভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারকে জেলা থেকে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।