বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কোচবিহার জেলা পুলিসের ডিএসপি (ট্রাফিক) চন্দন দাস বলেন, শহরের যানজট সমস্যা কমাতে আমরা সবসময়েই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু শহরের কিছু রাস্তার ধারে মাটি খুঁড়ে বিদ্যুতের কেবল বসানোর কাজ চলছে। কিছু অতিরিক্ত টোটোও শহরে আসছে। এসব কারণেই যানজট বেশি হয়ে থাকতে পারে। আমরা অতিরিক্ত কর্মী মোতায়ন করে কীভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেদিকে নজর দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার শহরের সুনীতি রোড, কেশব রোড, বিশ্বসিংহ রোড সহ কয়েকটি রাস্তায় যানজটের কারণে গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে নাজেহাল হতে হয়। কমবেশি প্রতিটি ট্রাফিক পয়েন্টে, চৌপথি, মোড়ে যানজটের কারণে মানুষকে মোটর বাইক, স্কুটার, গাড়ি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। কেন হঠাৎ করে কোচবিহার শহরে যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পেল? পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের দাবি, শহরের রাস্তার দু’পাশে বিদ্যুতের কেবল বসানোর জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে নিকাশি নালা পরিষ্কার করার পর বর্জ্য তুলে রাস্তার পাশেই স্তূপ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ওই জায়গা দিয়ে মানুষ হাঁটতে পারছে না। এছাড়াও শহরের বাইরে থেকে টোটোও সম্প্রতি যাত্রী নিয়ে চলে আসছে। এসব কারণেই শহরের রাস্তায় ক’দিন ধরে যানজট তীব্র আকার নিয়েছে।
শহরের অন্যতম ব্যস্ত কেশব রোডের ধারে পরপর দু’টি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। রাজবাড়ির দিক থেকে এলে প্রথমে মিনি বাসস্ট্যান্ড ও পরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। সেখান থেকে বাসগুলি বেরিয়ে কাছারি মোড় পর্যন্ত আসতে এদিন প্রচুর সময় লেগে যায়। গোটা কেশব রোডেই এদিন দিনভর যানজট ছিল। এদিকে রাজমাতা দিঘির মোড়ে চারদিক থেকে যেসমস্ত টোটো, অটো ও অন্যান্য গাড়ি এসে শহরের অন্যান্য রাস্তার দিকে চলে যায় সেই রাস্তাতেও এদিন ব্যাপক যানজট ছিল। আবার কাছারি মোড় থেকে হরিশ পাল চৌপথির দিকে যাওয়ার সময়েও সুনীতি রোডের উপরে যানজটের সম্মুখীন হতে হয়েছে গাড়ি চালক ও সাধারণ মানুষকে।
কোচবিহার শহরের রাস্তাগুলি যথেষ্ট চওড়া। তারপরেও কিছু রাস্তায় প্রায়দিন যানজট লেগে থাকে। অনেকদিন ধরেই শহরের প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডে মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুতের কেবল বসানো হচ্ছে। অনেক জায়গায় সেই কাজ শেষ হয়েছে। কিছু এলাকায় বাড়ি বাড়ি বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কাজ এখন চলছে। সেই কাজের জন্যও ওসব জায়গায় মাটি খুঁড়তে হচ্ছে। তাই ওই এলাকাগুলি এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে। হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে না। সিপিএম পার্টি অফিস সংলগ্ন এলাকা সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় নিকাশি নালা থেকে জঞ্জাল তুলে রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই সেসব রাস্তার ধারেই পড়ে রয়েছে। সেই জায়গা দিয়েও চলাচল করা যাচ্ছে না। তাছাড়া টোটো, অটো যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো নামানোয় যানজট বাড়ছে।