বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ও অতুল রায়ের নেতৃত্বাধীন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি একসঙ্গে হয়ে তাদের তৈরি করা যৌথমঞ্চের এই আন্দোলনকে নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে গ্রেটার ও কেপিপি’র এনআরসিকে সমর্থন ও সিএএ’র বিরোধিতা করে আন্দোলনকে দ্বিমুখী নীতি বলে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। তাদের মতে, দুই নৌকায় পা রেখে চলতে চাইছে বংশীবদন বর্মন ও অতুল রায়।
যদিও ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চের চেয়ারম্যান ও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বংশীবদন বর্মন বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, যারা এসব বলছে, তারা নিজেদের গদি বাঁচানোর তাগিদে রটাচ্ছে। আমরা ভূমিপুত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করি। কোনও মন্ত্রী বা কোনও পদের জন্য আন্দোলন করি না। আমাদের দাবি ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ থেকে এনআরসি কার্যকরী হোক কোচবিহার রাজ্যে। কিন্তু সিএএ আমরা চাই না। কে কি বললো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের দারি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলবেই। লক্ষাধিক কর্মী সমর্থক সভায় আসবেন।
কেপিপি নেতা তথা ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান অতুল রায় বলেন, সিএএ চালু হলে বাইরের দেশ থেকে আসা বহিরাগতরা নাগরিগত্ব পেয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে রাজবংশী সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য আদি জনজাতির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, রুজিরোজগারে আঘাত পড়বে। তাই সিএএ’র বিরোধিতা করে আন্দোলন করছি।
যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, ওরা সুবিধাবাদী, ওদের দু’টি গ্রুপ আছে। বংশীবদন দিদির আর অনন্ত মহারাজ মোদির লোক। এদের কাজ রাজবংশী মানুষকে বিভ্রান্ত করা। সুবিধাবাদী রাজনীতির জন্য উত্তরবঙ্গের রাজবংশী মানুষ এদের স্বরূপ বুঝে ফেলেছে। মানুষ ওদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ওরা এটা কেন করছে সেটা ওদের বিষয়। আজকে সারা ভারত এনআরসি ও সিএএর বিরোধিতা করছে। এনআরসির ও সিএএ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংবিধানের মৌলিকত্ব নষ্ট করছে। এনআরসির ও সিএএ’র প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন চলবেই।
আলাদা রাজ্যের দাবিতে গ্রেটার ও কেপিপির দুই সুপ্রিমো বংশীবদন বর্মন ও অতুল রায়ের নেতৃত্বে তাদের আন্দোলনকে জোরদার করতে গতবছর ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ নামে যৌথ সংগঠন গড়ে তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জেলায় এনআরসির দাবিতে আন্দোলনে নামে ভূমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনআরসির দাবিতে ১৬ জানুয়ারি কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে প্রকাশ্য সভা করে নিজেদের জনসমর্থন প্রদর্শন করতে চাইছে জিসিপিএ ও কেপিপির ভুমিপুত্র ঐক্য মঞ্চ। প্রকাশ্য সমাবেশকে সফল করতে জোর প্রচার শুরু করেছে তারা।