বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পযটন দপ্তরের উদ্যোগে শহরের কয়েকটি প্রধান রাস্তার ডিভাইডারের মাঝে গাছ লাগানো হয়েছিল। পাশাপাশি রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি স্থান চিহ্নিত করে সেখানেও গাছ লাগানো হয়। উদ্দেশ্য শহরকে সবুজায়ন করা। সব মিলিয়ে ১০০০ গাছ লাগানো হয়। কয়েক মাস আগে গাছগুলি লাগানো হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলি লাগানোর পর সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ কিছুই ছিল না। দিনের পর দিন জল না পেয়ে গাছগুলি শুকিয়ে যায়। এক সময়ে সেগুলি মরে যায়। এখন অধিকাংশ ডিভাইডারে সেই গাছের কোনও অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডিভাইডারগুলিতে শুধু মাটি পড়ে রয়েছে। সেভক রোড, বিধান রোড, হিলকার্ট রোডের একাংশে সবচেয়ে বেশি গাছ মরে গিয়েছে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়গুলিতেও ওই গাছ লাগানো হয়েছিল। এখন সেগুলিরও কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, পুরসভাকে জানিয়ে গাছ লাগাতে হবে? শহরকে সবুজায়ন করার জন্য আমরা এত গাছ লাগালাম। বিন্দুমাত্র নজর করল না পুরসভা। সেগুলি জল না দেওয়ার ফলে সব মরে গিয়েছে। গাছগুলিতে জল দেওয়ার ব্যবস্থাও কি পর্যটন দপ্তরকে করতে হবে? নূন্যতম জল দেওয়ার কাজটাও পুরসভা করল না। আসলে এই পুরসভা কোনও কাজই করতে পারছে না। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতে চাইছে। পুরসভার মেয়র বলেন, শহরে কোথায় গাছ লাগানো হয়েছিল তা তো আমাদের জানানো হয়নি। পুরসভাকে জানিয়ে তো গাছ লাগানো হয়নি। পুরসভা কী করে জানবে কোথায় কত গাছ লাগানো হয়েছে। সেগুলিতে জল দিতে হবে। পর্যটন দপ্তর আমাদের তো বলেনি যে গাছে জল দিতে হবে। আসলে পুরসভাকে অন্ধকারে রেখে বিভিন্ন বিভাগ নিজেদের খুশি মতো কাজ করার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পরিবেশ প্রেমী সংস্থা হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কর্ণধার অনিমেষ বসু বলেন, শহরে যেভাবে দূষণ বাড়ছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলে গাছ লাগানো জরুরি। পর্যটন দপ্তর খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু গাছ লাগালেই তো চলবে না। সেগুলির যত্ন নিতে হতো। কারা গাছ লাগিয়েছে না দেখে পুরসভার উচিত ছিল নিয়মিত জল দিয়ে গাছগুলিকে বাঁচানোর।