বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
সুবলবাবু বলেন, কয়েক মাস হয়ে গেল আমাকে জেলা পরিষদের মেন্টর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এব্যাপারে জেলা পরিষদ থেকে কোনও চিঠি, ভাতা, গাড়ি, নিরাপত্তারক্ষী কিছুই দেওয়া হয়নি। কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। কো মেন্টর নিরঞ্জন দত্ত বলেন, চিঠি এখনও পাইনি। তবে আশা করছি জেলা পরিষদ এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, মেন্টর ও কো মেন্টরদের নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি আমরা দ্রুত তাঁদের হাতে দেব। অন্যান্য সুবিধার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি, উপরমহলেও যোগাযোগ করছি। আলিপুরদুয়ারের মেন্টর মোহন শর্মা বলেন, সম্ভবত নির্বাচনপর্বের পর ভাতা সহ অন্যান্য বিষয়গুলি আমাদের দেওয়া হবে।
কোচবিহার জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা বা মেন্টর হিসাবে মনোনীত হয়েছেন দিনহাটার সুবল রায়। সুবলবাবু ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দিনহাটা ১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু সভাপতির পদ চলে যাওয়ার পর তিনি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষক। জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে তাঁকে ফের যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কোচবিহার শহরের অপর তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন দত্তকে জেলা পরিষদের সহকারি পরামর্শদাতার পদে বসানো হচ্ছে বলেও বিভিন্ন মহলে চর্চা হচ্ছে। নিরঞ্জনবাবুও দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও পেশায় শিক্ষক ছিলেন। তিনি বর্তমানে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি ও দলের শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক। এদিকে দীর্ঘদিন পর তাঁরা জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার জেরে অনেকেই স্বস্তি পেয়েছিলেন। মেন্টরকে ১০ হাজার টাকা ও কো মেন্টরকে পাঁচ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁদের গাড়ি, নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস যাওয়ার পরেও তাঁরা নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি, ভাতা সহ অন্যান্য সুবিধা না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ। এব্যাপারে নিরঞ্জনবাবু ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানিয়েছেন। তবে কোচবিহারে তাঁদের জন্য চেম্বার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জেলা পরিষদের একটি সাধারণ সভায় তাঁরা যোগদান করার জন্যও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দাবি অন্যান্য জেলাতে মেন্টররা সুযোগ সুবিধা পেলেও এখানে তাঁরা পাচ্ছেন না। তবে বাসিন্দাদের মতে মেন্টর ও কো মেন্টরের নাম করে পদ তৈরি ও তাঁদের ভাতা, গাড়ি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে আদপে সরকারি টাকা অপব্যয় করা হচ্ছে।