উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
১০ বছরে এই প্রথম। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় কোনও একটি বিতর্কপর্বে দিশাহারা দেখাচ্ছে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের। রাহুল গান্ধী থেকে মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিস্ফোরক ভাষণের ছত্রে ছত্রে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ, কটাক্ষ, আক্রমণ এবং অজ্ঞতার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো তো আছেই। তার সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের গনগনে উপস্থিতি। বিরোধীদের কোনও একটি মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি বেঞ্চ প্রতিবাদ করলেই, ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা সম্মিলিতভাবে পাল্টা চড়া সুরে উচ্চকণ্ঠে থামিয়ে দিচ্ছে। রাহুল গান্ধী কখনও মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদির অজ্ঞতার উদারহণ দিয়ে বিদ্রুপ করলে ইন্ডিয়া জোট একযোগে অট্টহাসি করেছে। কখনও হিন্দু-মুসলিম বিভাজন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে টেনে আনলে ইন্ডিয়া জোট শেম শেম বলে চিৎকার করেছে। রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়্গের আগুনে ভাষণে মাঝেমধ্যেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান রাশ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। খাড়্গে শুনেছেন ধনকড়ের বক্তব্য। তারপর বলেছেন, আমি যা বলেছি, যা মনে করেছি, সেটাই আমাদের অবস্থান। আমাদের বক্তব্য থেকে এক চুলও সরব না। সুতরাং, সংসদে হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে সংখ্যার শক্তি। যাকে বলা হয় বডি ল্যাংগুয়েজ। সেটাই যেন পাল্টে গিয়েছে একটি ভোটের ফলাফলে। বিজেপি শাসক দল হয়েও দৃশ্যত ব্যাকফুটে। আর বিরোধী বেঞ্চে বসেও ইন্ডিয়া জোটের আচরণে যেন নব যৌবনের তেজ। অতএব আকুল হয়ে বিজেপি অপেক্ষা করছে মোদি আজ কীভাবে মুখরক্ষা করবেন সেই প্রতীক্ষায়।