কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে অযোধ্যা। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে রামমন্দির উদ্বোধন ও রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে চমক দিতে চেয়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। এই ইস্যুতে ভর করে সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায়েও জোর দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সব হিসেব উল্টে দিয়েছেন ৭৯ বছরের অবধেশ প্রসাদ। তাই অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশেনে গোড়া থেকেই তাঁকে কার্যত সেলিব্রিটির মর্যাদা দিয়েছে বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিম অখিলেশ যাদব থেকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, প্রত্যেকেই কাছছাড়া করছেন না ফৈজাবাদের এমপিকে। এবার তাঁকেই ডেপুটি স্পিকার পদে বসিয়ে মোদি বিরোধিতার ‘ম্যাসকট’ বানাতে আগ্রহী রাহুল-অখিলেশরা। ‘ইন্ডিয়া’র বাকি শরিকদের কাছেও এব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়েছে।
গেরুয়া শিবিরের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর ভোটের রাজনীতিতে বাড়তি আশায় ছিল নরেন্দ্র মোদির দল। কিন্তু সেই ফৈজাবাদেই মুখ পুড়েছে তাদের। লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার দাঁড়িয়েই সাধারণ মানুষের সমর্থনে জিতেছেন দলিত নেতা অবধেশ। যদিও ভোটের রাজনীতিতে তিনি নতুন নন। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ন’বারের বিধায়ক। ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রটি তফশিলি জাতি জন্য নির্দিষ্ট না হলেও সেখানে একজন দলিত প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে নির্বাচনের ময়দানে চমক দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব। এবার সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমোর সেই চমককেই লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার পদে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে মোদিকে কিস্তিমাৎ করতে চায় ‘ইন্ডিয়া’।
যদিও তেমনটা হবে কি না, এব্যাপারে সংশয় রয়েছে। সংবিধানের ৯৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী লোকসভায় একজন স্পিকার এবং একজন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। বিগত ইউপিএ কিংবা বাজপেয়ি সরকারের আমলে এই পদটি বিরোধীদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছর এই নিয়ম মানেনি মোদি সরকার। সপ্তদশ লোকসভায় কাউকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করাই হয়নি। তবে এবার বিরোধীদের শক্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি। তাই লোকসভার স্পিকার নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার পদের জন্য সরকারকে চাপ দেবে বলে ঠিক করেছে বিরোধীরা। সেইমতো রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের মধ্যে এক দফা আলোচনা হয়েছে। তখনই অবধেশ প্রসাদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন নিয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে কি না, তা দেখে নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে ‘ইন্ডিয়া’।