কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
আপের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির জেরে শনিবার সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু করেছিল দিল্লি পুলিস। একের পর এক ব্যারিকেড দিয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিস্তীর্ণ অংশ ঘিরে ফেলা হয়। বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন তো ছিলই। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। ছিল জলকামান। এমনকী সংঘর্ষরোধী পুলিসও। ফলে আপের কর্মসূচি শুরুর সময় দেখা গেল, কার্যত দুর্ভেদ্য দুর্গের চেহারা নিয়েছে গোটা দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ এলাকা। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিজেপি কার্যালয়ের দিকে এগতে না পেরে শেষমেশ ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করেন আপের নেতাকর্মীরা। পুলিসি বাধায় এরপর রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। চলতে থাকে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ, স্লোগান। যোগ দেন আপ সরকারের মন্ত্রী আতিশী, গোপাল রাই, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের মতো শীর্ষ নেতারা। কেন তাঁদের এগতে দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্ন তুলে পুলিসের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। তুলকালাম বেঁধে যায় ওই এলাকায়। যেভাবে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাতে আপ প্রশ্ন তুলেছে, বিজেপি সরকার বিরোধীদের এত ভয় পাচ্ছে কেন?
আগামী দিনে বিরোধীদের প্রতিবাদের সুর আরও চড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। বিষয়টিকে সংসদেও তুলতে চলেছে তারা। শনিবার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেছেন, ‘সোমবার এর প্রতিবাদে সংসদে সরব হবে ইন্ডিয়া জোট।’ আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র দিল্লিতেই নয়, শনিবার উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, গুজরাত সমেত দেশের মোট ২১টি রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আগামী দিনেও মোদি বিরোধিতায় এভাবে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, ‘আপের দুর্নীতি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। তা থেকে মুখ বাঁচাতেই নাটক করছেন দলের নেতারা। কিন্তু সাধারণ মানুষ সব জানেন।’