বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
ডিজিটাল জমানায় বহু মানুষ এখন স্মার্টফোনে অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ে অভ্যস্ত। অনেক অ্যাপ রয়েছে, যার সঙ্গে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত। পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটা বা পাড়ার মুদিখানায় মাল কেনা— নানা রকম ‘পে’ অ্যাপ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্ল্যাকরক সেগুলি হ্যাক করে যে কোনও সময় গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও বেরিয়ে যেতে পারে সব টাকা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, জি-মেল, আমাজন, ই-বে, গুগল পে, উবের, নেটফ্লিক্সের মতো মোট ২২৬টি জনপ্রিয় অ্যাপ থেকে ইউজার নেম, পাসওয়ার্ডের মতো অতি গোপন তথ্য চুরি করতে সক্ষম ব্ল্যাকরক। আবার ইনস্টাগ্রাম, গুগল হ্যাংআউট, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যুইটার, ইউটিউব বা টিকটকের মতো ১১১টি অ্যাপ থেকে ক্রেডিট কার্ড নম্বর, বা সরাসরি টাকা হাতানোর মতো কাণ্ড ঘটাতে পারে। ফোনে আসা এসএমএস পড়ে নেওয়ার পাশাপাশি মোবাইলের কী-বোর্ডে টাইপ করা লেখা করায়ত্ত করাও ওই ম্যালওয়্যারের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। শুধু সেকেন্ডের খেলা! বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘জেরেক্সেস’ নামে পুরনো একটি ম্যালওয়্যারের সোর্স কোডের উপর তৈরি এই ব্ল্যাকরক। এটি ফোনে ইনস্টল হওয়ার পর ‘ওভারলে’ পদ্ধতিতে ডেটা সংগ্রহ করে। প্রথমে ‘ম্যালিশিয়াস অ্যাপ্লিকেশনের’ মাধ্যমে ফোনের অ্যাকসেস চায়। এরপর, ফোনের ব্যবহারকারী কোনও অ্যাপ খুলতে গেলে এটি একটি ‘ফেক উইন্ডো’ দেখায়। সেখান থেকে লগইন আইডি-পাসওয়ার্ড এবং কার্ডের ডেটা চুরি করে নেয়। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে বিপদে ফেলতে শুরু করেছে ব্ল্যাকরক। এবার তাদের টার্গেট ভারত সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশ।
তাহলে বাঁচার উপায়? সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে। অকারণে যা খুশি অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে না। এরাজ্যের অন্যতম সাইবার ও এথিক্যাল হ্যাকিং বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্তের কথায়, ‘একটা কথা মাথায় রাখা ভালো, বহু অ্যাপ আছে, যেখানে কেনাকাটার বালাই নেই। সেখানে কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্যই পণ্য। দুনিয়ায় সেই তথ্য কেনার জন্য মুখিয়ে আছে হাজার হাজার সংস্থা। গ্রাহক কোনও অ্যাপ ইনস্টলের সময় খেয়াল করেন না, তিনি কী কী তথ্য তার হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন। সেখান থেকে ডেটা বা তথ্য লিক হওয়ার শুধু সময়ের অপেক্ষা। যা খুশি গেম বা লাইফস্টাইল অ্যাপ ডাউনলোড, যে কোনও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা, ‘এইচটিটিপিএস’ না থাকা ওয়েবসাইটে হুটহাট ঢুকে পড়া, জোরালো পাসওয়ার্ড না রাখার মতো কাজগুলি থেকে সরে এলেই গ্রাহক অনেকটা সুরক্ষিত থাকবেন। ভালো অ্যান্টিভাইরাস মোবাইলে রাখাও অত্যন্ত জরুরি।