বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
যদিও রাজ্যপালের এই চাপানো অদ্ভুত শর্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে হইচই। রাজ্যপালের অনুমোদন ‘হ্যাঁ’ বলেও ‘না’ বলারই সমান বলে মনে করছে কংগ্রেস। রাজস্থানের রাজ্যপালের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে তিনটি শর্তের কথা বলা হয়েছে। এক, করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব বিধায়ককে হাজির করতে কমপক্ষে ২১ দিন সময় দেওয়া প্রয়োজন। দুই, ২০০ বিধায়কের পাশাপাশি এক হাজার অফিসারের করোনা সংক্রমণ এড়ানোর স্বাস্থ্যবিধি কী হবে, তা চূড়ান্ত করতে হবে। এবং তিন, যদি আস্থা ভোট হয়, তাহলে তা যেমন ভিডিও রেকডিং করতে হবে, তেমনি ব্যবস্থা করতে হবে লাইভ টেলিকাস্টেরও। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রবীণ কলরাজ মিশ্র এবার কার্যত গেহলটকেই চাপে ফেলে মোক্ষম চাল দিলেন! ফলে শর্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবার রাজ্যপালকে কী জবাব দেন, সেটাই দেখার।
তবে রাজ্যপালের শর্ত যে তাঁর পছন্দ হয়নি, তা মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের কথায় স্পষ্ট। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ প্রেমপত্র পেয়েছি।’ তবে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছে, রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ সহ কৌশলী চাপে রাজ্যপালকে রাজি করানো দলের নৈতিক জয়। পাশাপাশি, মোদি সরকারকে তোপ দেগে প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ২০১৪ সালের পর যেখানেই রাজ্যপাল নিয়োগ হয়েছে, সেখানেই সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্পিকারের মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়টি কি কংগ্রেসের ‘পিছিয়ে যাওয়া’? উঠছে প্রশ্ন। জবাব দিতে গিয়ে দলের দুঁদে আইনজীবী চিদম্বরম বলেন, ‘একেবারেই নয়।’ বলেন, ‘রাজ্যপাল তো সুপ্রিম কোর্টে মামলা থাকার অজুহাত দেখিয়ে অধিবেশনের অনুমতি দিচ্ছিলেন না। এখন স্পিকার মামলা তুলে নেওয়ায় আর কোনও দোহাই দিতে পারবেন না।’ জয়পুরের হোটেলে ধর্নায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই