কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বুধবার বিধানসভার গাড়ি বারান্দার সামনে চার ঘণ্টা বসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন বিধানসভা উপ নির্বাচনে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল চেয়েছিলেন, ওঁরা দু’জন রাজভবনে আসুন। কিন্তু দু’পক্ষই নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার ফলে বিধায়ক পদে শপথ হয়নি। এরপর বৃহস্পতিবার আবার বিধানসভার অভ্যন্তরে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধর্নায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। তাঁদের দাবি, রাজ্যপাল বিধানসভায় আসুন। আরও এক ধাপ এগিয়ে সায়ন্তিকার মন্তব্য করেছেন, ‘আমি রাজভবনে যেতে ভরসা পাচ্ছি না।’
কিন্তু রাজ্যপাল বর্তমানে কলকাতার বাইরে থাকার ফলে দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ শুক্রবার পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় দুই বিধায়ক যাতে দ্রুত শপথ নিয়ে নিজের বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করতে পারেন, তার জন্য দেশের রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সাতপাতার চিঠি লিখেছেন অধ্যক্ষ। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্যপাল কী কী করেছেন। তাতে চিঠিতে বিস্তারিতভাবে লেখা হয়েছে, শপথগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিষয় রাজ্যপাল জানতে চাইছেন। অথচ কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, সেটাই উল্লেখ করছেন না। আর রাজ্যপাল অনুমতি না দেওয়ার ফলে দুই বিধায়ক এলাকার কাজ শুরুই করতে পারছেন না। এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। বিমানবাবু বলেন, রাজ্যপাল একবগ্গা মনোভাব নিয়ে চলছেন। তার ফলেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেছি, আপনি রাজ্যপালকে নির্দেশ দিন শপথ বাক্য পাঠ করাতে অথবা বিধানসভার অধ্যক্ষ শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে আম্বেদকরের মতামত ও সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছে বিধানসভা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে বাদ রেখে কোনও রাজনৈতিক দলের হাত দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করাতে চাইছেন রাজ্যপাল! অন্তত বিজেপি নেতাদের কথায় তা স্পষ্ট হচ্ছে। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়া ছাড়াও উপ রাষ্ট্রপতিকে ফোন করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এখন রাষ্ট্রপতি কী মতামত দেন, তার দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
বৃহস্পতিবার বিধানসভার অভ্যন্তরে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে