আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
করোনা-বধের বছর হিসেবে শুরু হচ্ছে একুশ। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার থেকে প্রতিটি রাজ্যে চলবে টিকাকরণের ড্রাই রান। মূলত রাজ্যওয়াড়ি পরিকাঠামো যাচাই করতে এই পরিকল্পনা কেন্দ্রের। এর অনেক আগে থেকে অবশ্য প্রথম কারা টিকা পাবেন, তার তালিকা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে মোদি সরকার। প্রথমের সারিতে রয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। দ্বিতীয় সারিতে পুলিস, প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরা। ইতিপূর্বেই কোভিড মোকাবিলায় ‘ফ্রন্ট লাইন’ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক-নার্সদের নাম কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে নবান্ন। সেই সংখ্যা সাড়ে ছ’লক্ষ। পুলিসকর্মীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যেই সাফাইকর্মীদের টিকা দিতে তৎপর হল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই মর্মে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে চিঠি লিখেছেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম। কোভিডকে রুখতে জানুয়ারি মাসেই সুখবর মিলতে পারে বলে ইঙ্গিত কেন্দ্রের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল বেনুগোপাল জি সোমানির গলাতেও শোনা গিয়েছে আত্মবিশ্বাসের সুর। এই সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সাফাইকর্মীদের টিকা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
গত ১৭ মার্চ কলকাতায় প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। তার পর থেকে বেলাগাম হয়ে পড়ে সংক্রমণ। তখন থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাফাইকর্মীরাও অপরিহার্য হয়ে পড়েন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নবান্ন সহ প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবাণুমুক্ত করার কাজে। পুরসভা, পূর্তদপ্তর ও দমকলের কর্মীরা ওই কাজ করছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। সাফাইকর্মীদের পাশাপাশি তাঁদেরও টিকাকরণের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, প্রথমে কলকাতা পুরসভা, তারপর রাজ্যের বাকি সব পুরসভার সাফাইকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হবে।
টিকাকরণ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সফল করতে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের বৈঠক হয়েছে। দুই দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা হয় সেখানে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নবান্ন সূত্রে খবর, পালস পোলিও মডেলে টিকাকরণের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি গাইড লাইন তৈরি করছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচিকে সার্বিকভাবে সফল করতে রীতিমতো তৎপর নবান্ন।