আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই তারাপীঠে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে অনেকেই বছর শুরু করেন। ফলে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার পর এইসময় ফিবছর পর্যটকদের ঢল নামে। এবার করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। প্রায় তিনমাস বন্ধ ছিল মন্দির। কৌশিকী অমাবস্যার সময় মন্দির খুললেও ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ২ডিসেম্বর থেকে অল্প সংখ্যায় ট্রেন চলছে। তাতেই স্বাভাবিকের পথে তারাপীঠ পর্যটন কেন্দ্র। মন্দির কমিটির দাবি, অধিকাংশ মানুষ চাইছেন করোনামুক্ত হোক ২০২১সাল। মায়ের কাছে পুজো দিয়ে এই কামনা জানাতে প্রচুর পর্যটক আসবেন বছরের প্রথমদিনে। তাই ভিড় এড়াতে গর্ভগৃহের ভিতরে অঞ্জলি বন্ধ রাখা হবে। কারণ, অঞ্জলি দেওয়ার জন্য ভক্তরা বেশ কিছুক্ষণ গর্ভগৃহে দাঁড়িয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করেন। তাই পুজোর লাইনেই অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সেবাইতদের বলা হয়েছে। ভক্তরা লাইন ধরে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে মাকে প্রণাম জানিয়ে বেরিয়ে যাবেন। সেবাইতরা পুজো করিয়ে বাইরে প্রসাদ বিতরণ করবেন।
বছরের প্রথমদিন তারা মায়ের তিন রূপের দর্শন মিলবে। তারাময়বাবু বলেন, ভোর সাড়ে ৫টায় মাকে স্নান করিয়ে রাজবেশে সাজিয়ে মঙ্গলারতি ও শীতল ভোগ নিবেদনের পর পুণ্যার্থীদের জন্য গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে। দুপুরে ভোগের সময় পৃথক একটি বেনারসি শাড়ি ও বিভিন্ন সাজ দিয়ে সিঙ্গার বেশে মাকে সাজিয়ে তোলা হবে। সন্ধ্যায় ফের মাকে বিভিন্ন ফুলের সাজে সাজিয়ে সন্ধ্যারতি করা হবে। ওইদিন অনেক রাত পর্যন্ত মন্দির খুলে রাখা হবে। কারণ, ১জানুয়ারির পর দু’দিন শনি ও রবিবার ছুটি। তাছাড়া অন্যান্য বছর এই সময় শান্তিনিকেতনে ভাঙা মেলা থাকে। ফলে যাঁরা শান্তিনিকেতন যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন, তাঁদের একটা অংশের গন্তব্য হয়ে উঠবে তারাপীঠ। এদিনই কলকাতা থেকে আসা সুদর্শন রায় বলেন, করোনার আতঙ্কে দীর্ঘ কয়েক মাস কোথাও যাওয়া যায়নি। প্রতি বছর পৌষমেলায় আসি। কিন্তু এবার মেলা হয়নি। তাই সরাসরি তারাপীঠে চলে এসেছি। শুক্রবার বছরের প্রথমদিন পুজো দিয়ে ভাইরাসমুক্ত পৃথিবী ও পরিবারের মঙ্গল কামনা জানিয়ে বাড়ি ফিরব। সবমিলিয়ে পর্যটকদের এই ভিড়ের হাত ধরেই তারাপীঠের লজ ব্যবসায়ীদের এখন আক্ষরিক অর্থেই পৌষমাস। লজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, বড়দিন থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অন্যান্য বছর আমাদের হোটেলের ঘর অনুযায়ী ৬০শতাংশ বুকিং থাকত। সেটা বাড়তে শুরু করেছে। যা বুকিং হচ্ছে, তাতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার একশো শতাংশে হয়ে যাবে।
ফিবছর ১জানুয়ারি দূর-দূরান্ত থেকে পিকনিক দলের ঢল নামে তারাপীঠে। এবারও সেই ঢল নামবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সবমিলিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এই তীর্থভূমিতে ব্যাপক ভিড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।