নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কনকনে শীতের হাত ধরেই শুরু হচ্ছে নতুন বছর। আজ বৃহস্পতিবার বর্ষ বিদায়ের দিন এবং শুক্রবার ইংরেজি নববর্ষে গোটা রাজ্যেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে বলে আশা করছে হাওয়া অফিস। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বুধবার যে পূর্বাভাস জারি করেছে, তাতে পূর্ব ভারতে পারদ আরও দু’-তিন ডিগ্রি নামতে পারে বলে জানানো হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি প্রভৃতি রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। রাজস্থানের চুরুতে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্যের নীচে চলে গিয়েছে। দিল্লিতে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দার্জিলিংয়ের কাছাকাছি। দিল্লিতে রেকর্ড হয়েছে ৩.৫ ডিগ্রি, আর দার্জিলিংয়ে ৩ ডিগ্রি। তবে রাজ্যের সমতল এলাকায় কোথাও শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেনি আলিপুর আবহাওয়া অফিস। কলকাতায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবারের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে। কয়েকদিন আগে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৩ ডিগ্রিতে। এখনও পর্যন্ত ওটাই এই মরশুমের শীতলতম দিন। উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় থাকলেও এই দফায় কলকাতায় পারদ ১০ ডিগ্রির নীচে নামবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা নামলে তবেই শৈত্যপ্রবাহ বলে ঘোষণা করা হয়। আরেকটি শর্ত হল, সর্বনিম্ন তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকের থেকে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি কম হতে হবে। কলকাতায় এখন স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশপাশে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক।
দক্ষিণবঙ্গে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে কৃষ্ণনগরে, ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাগজে-কলমে যা কালিম্পংয়ের থেকেও কম। কালিম্পংয়ে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি। একই অবস্থা পুরুলিয়ায়, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়, শ্রীনিকেতন, শিলিগুড়ি, বহরমপুর প্রভৃতি শহরে পারদ ছিল ১০ ডিগ্রির নীচে। বারাকপুরেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে ছিল।
এদিকে, জানুয়ারির গোড়ায় নতুন একটি ঝঞ্ঝা আসতে পারে পশ্চিম হিমালয়ে। সেটি সক্রিয় থাকাকালীন সমতল এলাকায় তাপমাত্রা একটু বাড়তে পারে। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রাজ্যে শীতের আমেজ ভালোই থাকবে, বলছেন আবহাওয়াবিদরা।