কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
দুই নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে মাসে মাথপিছু এক কেজি করে চাল ও গম পান রেশন গ্রাহক। চাল ও গমের দাম কেজি প্রতি যথাক্রমে ১৩ ও ৯ টাকা। যেখানে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও রাজ্য সরকারের এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে (জাতীয় প্রকল্পের অন্ত্যোদয় শ্রেণীর কার্ড থাকলে মাসে পরিবার পিছু ৩৫ কেজি) চাল-গম মেলে। এই দু’টি প্রকল্পে চাল ও গম পাওয়া যায় মাত্র দু’ টাকা কেজি দরে।
দামে কম ও পরিমাণে বেশি খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে দুই নম্বর প্রকল্পের কার্ড প্রাপকদের অনেকেই এখন এক নম্বর প্রকল্পের কার্ড চাইছেন। খাদ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৩৯টি দুই নম্বর প্রকল্পের কার্ড এখনও পর্যন্ত ইস্যু হয়েছে। এক নম্বর প্রকল্পের কার্ড দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭০৬টি।
নতুন রেশন কার্ড ও পুরনো কার্ডের ভুল সংশোধনের জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে খাদ্য দপ্তর। গ্রামে বিডিও অফিস এবং শহরে পুরসভা অফিসে এর জন্য বিশেষ ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। কর্পোরেশন এলাকায় বরো অফিসে ক্যাম্প চলছে। বিশেষ ক্যাম্প ২৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এখানে এসে নতুন কার্ডের জন্য বা কার্ড সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে।
কী ধরনের আর্থিক মাপকাঠি ও পারিবারিক সম্পদ থাকলে ভর্তুকির খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে না, তা এবার নির্দিষ্টভাবে ঘোষণা করে তা প্রচারের ব্যবস্থা করছে খাদ্য দপ্তর। কিন্তু খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ক্যাম্পগুলিতে পরিদর্শন করে জানতে পেরেছেন, দুই নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা অনেক রেশন গ্রাহক যাঁদের আগে বিপিএল-অন্ত্যোদয় শ্রেণীর রেশন কার্ড ছিল না দাবি করছেন, সরকার ঘোষিত আর্থিক মাপকাঠি অনুযায়ী তাঁরা ভর্তুকির খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার যোগ্য। এই পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য দপ্তর সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আগে বিপিএল-অন্ত্যোদয় শ্রেণীর রেশন কার্ড না থাকলেও এখন এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকার যে আর্থিক মাপকাঠি ঠিক করে দিয়েছে, তদন্ত করে তা যথার্থ পাওয়া গেলে তবে এক নম্বর প্রকল্পের কার্ড মিলবে।