কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
কিন্তু, বাটানগরের জমিতে হাসপাতাল কি করবেন না? এ প্রশ্নের উত্তরে আর এক প্রতাপকন্যা এবং হাসপাতাল গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ পৃথা রেড্ডি বলেন, হাসপাতাল তৈরির জন্য ওখানে পাঁচিল দেওয়ার কাজ আমরা শুরু করেছি। কতদিনের মধ্যে এই হাসপাতাল তৈরি হবে, সে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে হাসপাতাল গোষ্ঠীর এই প্রভাবশালী কর্ত্রী বলেন, সেটা খোঁজখবর নিয়ে বলতে হবে। তিনি বলেন, নতুন হাসপাতাল গড়ার ক্ষেত্রে টাকা তো কোনও সমস্যা নয়, আসল সমস্যা হল ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া। সেসব কোথায় পাব!
এদিন হাসপাতাল গোষ্ঠীর এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে চেন্নাইয়ের হেডকোয়ার্টার থেকে। অ্যাপোলো এডুকেশন ডিভিশন বিষয়টির দায়িত্বে রয়েছে। এবং যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রেখেই। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, তিন বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। সেই সময়সীমা কিছুটা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, তরতাজা যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর পর একের পর এক ঘটনাক্রমে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল, কলকাতায় কি আদৌ হাসপাতাল রাখবে অ্যাপোলো? গত বছর চেন্নাইয়ের প্রোটন সেন্টারের উদ্বোধনে খোদ হাসপাতাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ডাঃ প্রতাপ রেড্ডি যদিও স্পষ্ট বলেছিলেন, বাটানগরের মেডিক্যাল কলেজ করবই। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়েছে। কলকাতা অ্যাপোলো ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, এক পা ফেলার আগে দশবার ভাবার মানসিকতা যে পাল্টায়নি, এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা এই বিষয়ে প্রশ্ন যতবারই উঠেছে, হাসপাতালের পরিচালক গোষ্ঠীর সাবধানী মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট। সূত্রের খবর, কোনও প্রচারের মধ্যে না গিয়ে চুপচাপ বাংলায় তাদের দ্বিতীয় বড় হাসপাতাল (বা ভবিষ্যতে মেডিক্যাল কলেজ) গড়ার কাজ শেষ করতে চাইছে অ্যাপোলো।