বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
তবে ঝাড়গ্রামের ভোট এবার কোন দিকে যাবে? তা নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি অনেকেই। কারও দাবি, তৃণমূল আমলে এখানে মাওবাদীরা পুরো শান্ত। প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজও হয়েছে। তাই মানুষ তাদের পাশেই থাকবে। আবার কারও দাবি, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান না হওয়া থেকে শাসক শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এখানে বিজেপিকেই এগিয়ে রাখবে। গতবছর জঙ্গলমহলের পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির ভালো ফল তৃণমূলকে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় রাখবে। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে পিছিয়ে থাকলেও, গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে বিজেপি ভালো ভোট পেয়েছে। এবার তাদের সংগঠনও মজবুত হয়েছে। বিরোধী শিবিরের ভোটের বেশিটাই বিজেপির বাক্সে যাবে বলে জেলা নেতৃত্বের দাবি। তবে বিজেপি যতই আশাবাদী হোক না কেন, গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান ছিল ৩.৪৭ লক্ষ ভোট। সেই ব্যবধান টপকে বিজেপি ঝাড়গ্রাম আসন জিতে নেবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই শাসক শিবিরের দাবি। তাদের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে যতই বিরোধীরা সোচ্চার হোক না কেন, আসলে নিজেদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে ওরা। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে বিরোধী বিজেপি শিবিরে ব্যাপক ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। তারা সব তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন। সেই সঙ্গে বিজেপির মধ্যে থাকা বহু মানুষও তৃণমূলকেই ভোট দেবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। যদিও শাসকদলের আরেকটি অংশ মনে করছে, এই আসনে আসল ফ্যাক্টর হবে সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম কতটা ভোট পাবেন? এক নেতার কথায়, দেবলীনা দেড় লক্ষের বেশি ভোট পেলে, ভোট কাটাকুটিতে তৃণমূলই জয়ী হবে। আর দেবলীনার ভোট এক লক্ষের নীচে নামলে, এখানকার ফলাফল যা কিছু হতে পারে। যদিও এখানকার সাতটি বিধানসভার প্রত্যেকটি আসন শুধুমাত্র তৃণমূলের দখলে গিয়েছে তাই নয়, ২০১১’র তুলনায় ২০১৬’তে জয়ের ব্যবধানও বেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র দাবি করছে, গড়বেতাতে তৃণমূল ভালো ‘লিড’ নিতে পারলে আর চিন্তার কিছু থাকবে না। কারণ আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক ভাগাভাগি হলেও সবটাই বিজেপির বাক্সে যাবে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে বিক্ষুব্ধ ভোটব্যাঙ্কে যে বিজেপি থাবা বসাবে এটা মোটামুটি সকলেই নিশ্চিত। এত চাপান-উতোরের মধ্যেই শনিবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকা, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর, বান্দোয়ান সহ প্রতিটি বিধানসভা এলাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রঙ-বেরঙের পতাকা-ফেস্টুনে সেজে উঠেছে। রবিবারের ভোট ঘিরে প্রশাসনের মধ্যেও তৎপরতা তুঙ্গে। বিশেষ করে মাওবাদী চোখ রাঙানি না থাকায়, মানুষ যে উৎসবের মেজাজেই ভোট দেবেন— সেবিষয়ে নিশ্চিত স্থানীয় মানুষ। ভোটকেন্দ্রের পথে কর্মীরা। - নিজস্ব চিত্র