কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, পথশ্রী-চার প্রকল্পের আওতায় কাজ হতে পারে। আগে পথশ্রী এক, পথশ্রী-রাস্তাশ্রী এবং পথশ্রী-তিন প্রকল্প রূপায়ণ করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। তবে নির্বাচনের কারণে যে জায়গাগুলিতে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি, সেখানে দ্রুত কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইনে রাস্তা তৈরির আবেদন জমা পড়েছে। তারপর কাজ শুরুর পরিকল্পনা হয়। মূলত তিনটি ধাপে এই কাজ হবে। এক কিলোমিটারের মধ্যে হলে সেই রাস্তা করবে পঞ্চায়েত সমিতি। এক থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা হলে তা করবে জেলা পরিষদ। আর এর ঊর্ধ্বে হলে করবে এসআরডিএ। জেলায় ৪৫৮টি রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। সর্বোচ্চ অভিযোগ দেগঙ্গার। সেখানে আবেদনের সংখ্যা ৭০টি। তারপর রয়েছে বনগাঁ। সেখানে আবেদন জমা পড়েছে ৬৪। মিনাখাঁ ও বাদুড়িয়ায় ৩৩ টি করে অভিযোগ। পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাস্তাগুলি নিয়ে দ্রুত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে একই রাস্তার জন্য একাধিক আবেদন করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আবার রাস্তা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ফোন করেছেন। কোথাও এমন রাস্তা নিয়ে অভিযোগ গিয়েছে যেটি পঞ্চায়েত দপ্তরের আওতায় নয়। এমনকী পথশ্রী-তিন প্রকল্পে জাতীয় সড়ক নিয়েও অভিযোগ গিয়েছিল। তাই গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আবেদন ঝাড়াই ও বাছাইয়ের কাজ চলছে। এরপর প্ল্যান তৈরি করে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রচুর রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের নিজেদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। যে রাস্তাগুলির সংস্কারের প্রয়োজন, সেগুলির তালিকা করে রাজ্যের কাছে পাঠানো হবে। তারপর দ্রুত সংস্কার করার পরিকল্পনা।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রচারের অন্যতম ইস্যু ছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। বঞ্চনা সামলে রাজ্যের স্বার্থে এবং গ্রামীণ এলাকার মানুষের সুবিধার্থে পথশ্রী-চার চালু করার দিকে এগচ্ছে রাজ্য সরকার।