কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম সমীরণ মুর্মু। তিনি ধনেখালির ৫ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি। আক্রান্ত নেতার মা সরমা মুর্মু বলেন, আমার ছেলে এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেকারণেই কিছু দুষ্কৃতী তার উপরে রবিবার রাতে হামলা করেছিল। তাকে খুন করাই উদ্দেশ্য ছিল। স্থানীয় মানুষজন তাকে উদ্ধার করায় সে বেঁচে গিয়েছে। মাথায় ১৮টি সহ মোট ১৯টি সেলাই পড়েছে। আমি ওই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই সমীরণকে তৃণমূল টার্গেট করেছিল। ওঁর এলাকায় তৃণমূল ভোটে সাফল্য পায়নি। সেটাই ছিল রাগ। আমরা তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তৃণমূলের ধনেখালির বিধায়ক তথা জেলার চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, ধনেখালির মানুষ বিজেপিকে বর্জন করেছে। সেই রাগেই গেরুয়া পার্টি নানা ষড়যন্ত্র করছে। পাড়াগত বিবাদকে তারা রাজনৈতিক রং চড়িয়ে আমাদের কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওই চেষ্টা সফল হবে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই আদিবাসী নেতা এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ধনেখালির ১১৩ এবং ১১৪ নম্বর বুথ এলাকা ত্রস্ত করে রেখেছিলেন। ভোটের পরেই তিনি এলাকা ছাড়েন। সম্প্রতি ফের এলাকায় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল। রবিবার রাতে তিনি বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ধনেখালির কানানদী ধানকল মোড়ে তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কিছু যুবকের বচসা হয়। তারপরেই শুরু হয় মারধর। অভিযোগ, আক্রমণকারী যুবকরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারপর তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয়রা ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে ধনেখালি হাসপাতালে ভর্তি করেন।