গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিন দুপুরে হিরণের সমর্থনে ডেবরার হরিমতি হাইস্কুল মাঠে প্রচার সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অমিত শাহ। দুপুর ১২টার সময় সভার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। প্রায় এক ঘণ্টা পরে দুপুর ১টা ৫মিনিট নাগাদ সভামঞ্চে ওঠেন অমিত শাহ। তখনও কার্যত ফাঁকা সভাস্থল। শুধুমাত্র সামনে থাকা চেয়ারগুলিতে বসেছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বাকি মাঠ ছিল প্রায় ফাঁকা। তবে কম ভিড় দেখে বিব্রত হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভামঞ্চে উঠেই তড়িঘড়ি বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় ১৮ মিনিট বক্তব্য রেখে মঞ্চ থেকে চলে যান তিনি। মাত্র দু’দিন আগেই রবিবার খড়্গপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। অথচ এখানে একই এলাকায় অমিত শাহের সভায় ভিড় না হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের কপালে। এই ঘটনায় কার্যত বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই সামনে আনল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিনের সভায় অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে একবারও মুখে আনলেন না ঘাটালের মূল দাবি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা। ঘাটাল এলাকা থেকে আসা বিজেপি কর্মীদের আক্ষেপ, তিনি বারবার তৃণমূলের দুর্নীতির কথা, রাম মন্দিরের কথা, কাশ্মীরের কথা বললেও স্থানীয় ঘাটালবাসীর মূল দাবির কথাই তুললেন না। বিষয়টি নিয়ে হতাশ ঘাটালের মানুষ।
তবে ভিড় না হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অমূল্য মাইতির সাফাই, এই সভা প্রথমে পিংলার মুণ্ডুমারিতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মাঠে জল জমে থাকায় তড়িঘড়ি সভাস্থল পরিবর্তন করে ডেবরায় আয়োজন করতে হয়। একে দুপুরের তীব্র রোদ, তার উপরে সভাস্থল পরিবর্তন হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে আমাদের প্রার্থী যেভাবে প্রচার করছেন, তাতে ঘাটাল লোকসভায় আমরাই জয়ী হব।
তবে বিজেপির এই ভিড় না হওয়াকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এদিন এখানে এসে বুঝতে পারলেন যে বাংলার মানুষ আর বিজেপির সঙ্গে নেই। বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন, তাঁর উন্নয়নের পাশে রয়েছেন। আর এবারে নির্বাচনে এর ফল বিজেপি নেতারা হাতেনাতে দেখতে পাবেন।