কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
থাইল্যান্ডের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশেও এই চাষ হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি ড্রাগন ফল চাষ প্রাথমিকভাবে ব্যয়সাপেক্ষ। পূর্ণবয়স্ক চারা লাগিয়ে এই চাষ শুরু করতে হয়। ১৩ মাসের মাথায় গাছে প্রথম ফুল আসে। তার ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে গাছ থেকে ড্রাগন ফল সংগ্রহ করা হয়। গাছ একবার লাগানোর পরে একটু যত্ন নিলেই ২৫-৩০ বছর এই গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। সারা বছরই এর চারা রোপণ করা যেতে পারে। উন্নত মানের চারা রোপণ করতে পারলে এক বছরের মাথায় ফল পাওয়া যাবে। মরুভূমির ক্যাকটাস জাতীয় গাছ হলেও যে কোনও উষ্ণ ক্রান্তীয় জলবায়ুতে ড্রাগন ফল চাষ হতে পারে। তবে দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ মাটিতে এই চাষ ভালো হয়। শুধু জলনিকাশির ভালো ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তেহট্টের পাথরঘাটার সুলতান মল্লিক, করিমপুরের হোগলবেড়িয়ার কুমরি এলাকায় সুজিত সরকাররা ড্রাগন চাষ করছেন। কর্মসূত্রে ২৫ বছর দিল্লিতে ছিলেন সুজিতবাবু। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ইউটিউবে প্রথম ড্রাগন ফল চাষ সম্পর্কে জানতে পারি। তারপর দিল্লি, গুজরাত সহ অনেক জায়গায় এবিষয়ে খোঁজ নিই। হাসনাবাদ থেকে চারা এনে চাষ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে বিঘা প্রতি প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়। প্রথমে এক বিঘা জমিতে শুরু করেছিলাম। এখন তিন বিঘা জমিতে চাষ করছি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ কুইন্টাল ফল হচ্ছে। পাইকারি ১৫০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন ফল বিক্রি হয়।
২০১৮ সালের মার্চে নিজের ১০ কাঠা জমিতে এই চাষ শুরু করেছেন সুলতান মল্লিক। তিনি বলেন, প্রায় আট বছর আগে ইউটিউবে ড্রাগন ফল চাষ সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর রানাঘাটের ও এখন তেহট্টের সহ-কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সুলতান মল্লিকের পরামর্শে কৃষি দপ্তর নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় ২৫জন চাষিকে ৫-১০ কাঠা জমিতে এই চাষ করতে উৎসাহিত করে। এখন এই ফল চাষে চাষিদের ঝোঁক বেড়েই চলেছে।
সহ কৃষি আধিকারিক জেসমিন হক(ইক্ষু) বলেন, পাঁচ বছর আগে জেলার কিছু চাষিকে ড্রাগন ফল চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। থাইল্যান্ড থেকে চারা এনে তাঁদের দেওয়া হয়। এখন জেলার প্রতি ব্লকেই এই চাষ হচ্ছে। ফলের সঙ্গে চাষিরা চারাও বিক্রি করছেন। নদীয়া জেলায় উৎপাদিত ড্রাগন ফল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। ড্রাগন ফল চাষ করেই এখন জেলার বহু চাষি স্বনির্ভর হয়েছেন।