পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষ ভরসা রাখছেন। মানুষ বুঝেছেন, আগে কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে। জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তি চান। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা আনতে পেরেছেন। আগামী দিনেও মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবেন। কারণ মানুষ প্রতিশ্রুতি চান না, উন্নয়ন চান।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে জঙ্গলমহলে নিজেদের শক্ত মাটি হারাতে শুরু করে সিপিএম। নেতাই সহ একাধিক ঘটনায় বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল লাল পার্টি। ২০১৪ সালের পর বিজেপির উত্থান শুরু হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কিছু আসন দখল করে বিজেপি। একইসঙ্গে উনিশের লোকসভা যায় তাদের দখলে। ১২ হাজার ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। সেই সময় ঝাড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় এক হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি সাংসদ। বহু চেষ্টার পরে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা যায় তৃণমূলের দখলে। তৃণমূলের প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন। তবে এরপর আর বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। একটি ভোটেও বিজেপি জিততে পারেনি। এবারের লোকসভা ভোটেও ১৪ হাজার ভোটে পিছিয়ে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই লিড আরও বাড়বে।
তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ঝাড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় গত পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল হয়েছিল। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোটের পরিমাণ কমেছে। বিশেষ করে ঝাড়গ্রাম পুরসভা এলাকায় বেশকিছু আসনে বিজেপি ভালো ফল করেছে। মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। তাই জনসংযোগে ঘাটতি অন্যতম কারণ বলে মনে হচ্ছে। তবে ছাব্বিশের বিধানসভায় ফের সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিততে পারবে না। এই এলাকার যুবকদের জন্য কিছুই হয়নি। এছাড়া বনমন্ত্রী হাতির সমস্যা নিয়ে কিছুই করেননি। মানুষ ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছে না। মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাই বিধানসভার ফল অনুসারে তৃণমূলের ভোট কমেছে। আরও কমবে।