সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
আত্মশাসনের জেরে নির্দিষ্ট সময় মেনেই দোকান বন্ধ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও খুশি তাঁরা। কারণ, বছর দেড়েক আগে থেকে মহামারী সর্বস্ব গ্রাস করেছে। মানুষের আয় কমে যাওয়ার বিরাট প্রভাব পড়েছে পোশাকের বাজারে। তাই অনেকেই পেটের তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। এবছর বৃষ্টি বেশি, আবহাওয়া দপ্তরের এমন পূর্বাভাসে অনেকেই নেমেছেন ছাতা ও রেইনকোটের ‘সিজিনাল’ ব্যবসায়। আশায় আছেন, কিছুটা হলেও ভালো বেচাকেনা হবে। বর্ষা শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই সাধারণত বেচাকেনা ভালো হয় বর্ষাতি এবং ছাতার। দোকানিরা বলেন, সাধারণত আমরা দুই-একদিনের বৃষ্টিতে ছাতা এবং রেইনকোট ছাড়াই কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু লাগাতার বর্ষণ শুরু হলে, তখন বাধ্য হয়েই রেইনকোট কিনতে হয়। এ বছরে বর্ষা শুরু হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। এখন বিক্রি হচ্ছে অল্প পরিমাণে। বিধিনিষেধ উঠে গেলে, আর গণপরিবহণ চালু হলেই তবে বাজার আরও ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মানুষের আয় কমে যাওয়াতে রেইনকোট তুলতে হয়েছে ভাবনা-চিন্তা করে।
বাজারে খুব কমা দামে মাত্র ১৭০ টাকা থেকে রেইনকোট পাওয়া যাচ্ছে। সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের খুব ভালো রেইনকোট আছে। দামি রেইনকোট তুললেও, সেগুলি বিক্রি হবে কিনা সেই আশঙ্কা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। কারণ ভালো মালের চাহিদা নেই। ছাতার ক্ষেত্রে অবশ্য উল্টো। ভালো ছাতার বিক্রি বেশি।
অধিকাংশ ক্রেতাই বলেন, প্রতিবারই বর্ষার শুরুতে এগুলো কিনতে হচ্ছে। এখন ছাতা বা রেইনকোট শুধুমাত্র এক-দুই বছরের বেশি টেকসই হয় না। তাই কমা দামের মালের দিকেই ঝুঁকতে হয়। বেশি দামি কিনলেও রক্ষে নেই, বৃষ্টির জল গায়ে লাগবেই। তাই কাজ চালানোর জন্য কমা রেইনকোট ঠিকই আছে।
বর্ধমানের রেইনকোট ব্যবসায়ী শেখ নিজামুদ্দিন বলেন, এটা তো তিন মাসের ব্যবসা। আমরা সেই বুঝেই মাল তুলেছি। সাধারণ মানুষের আয় কমে গিয়েছে। তাই কমা দামের রেইনকোটের চাহিদাই বেশি। ভালো রেইন জ্যাকেট আছে। তবে বিক্রি কম। সবে তো ভারী বৃষ্টি শুরু হল, এবার ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়বে।