উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এর আগে রায়দিঘিতে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাঁদের পরিবারের লোকজন দেহ শনাক্ত করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা দেখেছেন, উদ্ধার হওয়া মৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে শম্ভু ও চন্দন নেই। পরিবারের লোকজনদের দাবি, গত ৯নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শুরু হওয়ার পর থেকে শম্ভু আর চন্দনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁদের খোঁজ না পেয়ে রীতিমতো উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে দুই পরিবারের সদস্যরা। ছেলে চন্দনের খোঁজ না পেয়ে অশীতিপর বৃদ্ধা সুজাতা দাস সহ পরিবারের লোকজনরা উদ্বিগ্ন। সুজাতাদেবী বলেন, এখনও ছেলের কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না। অন্যদিকে, শম্ভুর স্ত্রী বাসন্তী দাস বলেন, স্বামীর কিছু হয়ে গেলে আমরা কী নিয়ে বাঁচব। মাছ ধরেই তো আমাদের সংসার চলত।
শনিবার কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা দাস, বিডিও নেহাল আহমেদ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ওই দুই মৎস্যজীবীর বাড়িতে যান। পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁদের হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য ছাড়াও চাল-ডাল, কম্বল প্রভৃতি তুলে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণাদেবী বলেন, আমরা ওই দুই মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজনদের পাশে থেকে যতটুকু করা যায়, তা করব। শুক্রবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল চন্দন ও শম্ভুর বাড়িতে যান। তাঁরা দু’টি পরিবারকে নগদ আর্থিক সাহায্য দশদিনের খাবার সামগ্রী তুলে দেন। প্রসঙ্গত, রায়দিঘিতে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৩জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হন। এখনও পর্যন্ত ৬জন মৎস্যজীবী দেহ উদ্ধার এবং শনাক্ত করা হয়েছে।