উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
যদিও এ ব্যাপারে কাটোয়া মহকুমা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক বামদেব সরখেল বলেন, আমরা নিয়মিত ফেরিঘাটে লাইফ জ্যাকেট পরা হচ্ছে কি না দেখে আসি। তবে, কোনও ঘাটে যদি কেউ তা না পরে তাহলে আমরা মাঝির কাছে কৈফিয়ত চাইব। নিয়ম না মেনে কোনওভাবে নদী পারাপার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, মহকুমা প্রশাসন থেকে নৌকায় যাত্রী পারাপারের জন্য বর্ষার আগেই যথেষ্ট সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। সেগুলিকে নৌকায় রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাত্রীরা নৌকায় উঠলেই তাঁদের লাইফ জ্যাকেট পরার নিয়মের কথা জানিয়েছেন মহকুমা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকরা। যদিও সেই নির্দেশ যে মানা হচ্ছে না, তা কাটোয়া ও দাঁইহাটের ফেরিঘাটগুলিতে গেলে বোঝা যাবে। আবার বেশকিছু নৌকায় লাইফ জ্যাকেট রাখলেও, কেউ সেদিকে ফিরেও তাকায় না। কাটোয়া শহরের শাঁখাই, বল্লভপাড়া ফেরিঘাট, দাঁইহাটের দেওয়ানগঞ্জ, অগ্রদ্বীপ ফেরিঘাটগুলিতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিনই লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই শয়ে শয়ে মানুষ সারাদিন ভাগীরথী পারাপার করছেন।
অগ্রদ্বীপ ঘাটের নৌকায় গিয়ে দেখা গেল, নৌকার একপাশে রাখা আছে লাইফ জ্যাকেট। সেটা চাইতেই এক মাঝি রেখে দিতে বললেন। এরপর ওই মাঝি বলেন, যাত্রীরা নিজেরাই সেগুলি পরে না বলে, আমরাও আর জোর করি না। তবে ব্লক প্রশাসন থেকে কেউ পরিদর্শন করতে এলে তার আগে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দিই।
এদিকে অগ্রদ্বীপ ফেরিঘাটের অবস্থাও খুবই বিপজ্জনক। এখানে নির্দিষ্ট কোনও ফেরিঘাট না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সাধারণ যাত্রীদের পারাপার হতে হয়। তাতে আবার বর্ষা এলে ঘাটের অবস্থা আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই মাঝি, পলাশ দাস বলেন, এখন ভাগীরথীতে জল বেড়েছে। তাছাড়া বর্ষা এলেই স্থায়ী ঘাট না থাকায় কাদার মধ্যেই নামতে হয় আমাদের। আর লাইফ জ্যাকেট পরতে চাইলে মাঝিরা বলেন এত সময় নেই।
অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই সুন্দর মুখোপাধ্যায় বলেন, যাত্রীদের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট পরার প্রবণতা নেই। জলসাথী প্রকল্পে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরার অনুরোধ করলেও তাঁরা কথায় কর্ণপাত করছেন না। এনিয়ে আমরা প্রশাসনকে বলেছি।