উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সুফলবাবু পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। কিছুদিন ধরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নাটাগড় এলাকায় এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুফলবাবুর পরিবারের দাবি, ওই মহিলা তাঁদের বাড়িতে কয়েকবার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। দুই পরিবারের মধ্যে যাতায়াত ছিল। শুক্রবার রাতে সুফলবাবু বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, সোমরাবাজার স্টেশন সংলগ্ন এলাকার রেল লাইনের ধার থেকে সুফলবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কালনা জিআরপি। পরে মৃতের পরিবার ও পরিজনেরা জানতে পারেন, নাটাগড়ের বাসিন্দা ওই বধূ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
সুফলবাবুর ভাই উৎপল হালদার বলেন, দাদা গাড়ি চালাত। ওইদিন দাদা মদ্যপান করায় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আমি বাড়িতে নিয়ে আসি। রাত ৯টা নাগাদ দাদা ফের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শনিবার সকালে রেল লাইনের ধার থেকে দাদার দেহ উদ্ধার হয়। এক মহিলার সঙ্গে দাদার সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে। তবে এব্যাপারে আমরা তেমন কিছু জানতাম না।
বলাগড় থানার এক পুলিস অফিসার বলেন, বেলা ১২টা নাগাদ আমরা নাটাগড় এলাকায় ওই মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। জানতে পেরেছি মহিলার সঙ্গে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সকালে রেল লাইনের ধার থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার কথা জানতে পেরে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অপরদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে বাঘনাপাড়া স্টেশনের কাছে রেল লাইন থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কালনা জিআরপি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জিআরপির অনুমান। মৃতদেহ কালনা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিআরপি যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।