উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাল্লা ৩নম্বর ক্যাম্পের যুবতী সোমা মণ্ডলের সঙ্গে মাস আটেক আগে ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে অমিতের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সোমার উপর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। বর্তমানে তিনি ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তা সত্ত্বেও তাঁর উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ স্বামী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। বিষয়টি সোমা বাপেরবাড়িতে জানান। পরেরদিন সকালে তাঁর মা শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তাঁর মাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অপমান করেন। তার প্রতিবাদ করেন সোমা। সেজন্য তাঁকে ফের মারধর করা হয়। শেষমেশ তাঁকে ও তাঁর মাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমা নিজেই ঘটনার কথা জানিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে, গৃহবধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিস। ধৃতদের নাম অমিত ভট্টাচার্য, কমল ভট্টাচার্য ও মায়া ভট্টাচার্য। মেমারি থানার মামুদপুরে তাদের বাড়ি। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। মৃতার নাম কেয়া ভট্টাচার্য(১৯)। ঘটনার বিষয়ে মৃতার মামা শক্তিগড় থানার স্বস্তিপল্লির বাসিন্দা মানিক রায় মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ২৯নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম রতনকুমার গুপ্তা।
পুলিস জানিয়েছে, বছর খানেক আগে কেয়ার সঙ্গে ভাব-ভালোবাসা করে অমিতের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি গলায় দড়ি দেন। তাঁকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।