উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
কঙ্কালসার, রেলিংবিহীন এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয় হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর ও চৈনগর গ্রাম সহ অন্য এলাকার বাসিন্দাদের। বেহাল ব্রিজের কারণে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। তবুও এই ব্রিজ সংস্কার করতে প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা এবার আন্দোলন করার কথা ভাবছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দুলালচন্দ্র দাস বলেন, আমরা বহুবার এই ব্রিজ ভেঙে নতুন করে গড়ার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের হেলদোল দেখতে পাচ্ছি না। ভোট এলেই ব্রিজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। ফল বের হওয়ার পর আর কাউকে দেখা যায় না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয় আমাদের। গত ডিসেম্বরে ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে ভুটভুটি চালকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও কারও ভ্রুক্ষেপ নেই।
হেমতাবাদ-বিষ্ণুপুর গ্রামীণ সড়কের উপরে এই বেহাল ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হেমতাবাদ, চৈনগর, বিষ্ণুপুর গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাতায়াতের অন্য রাস্তা নেই। ২০১৭ সালের বন্যার পর এই ব্রিজকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশে অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করা হলেও সেটির অবস্থা ভয়াবহ। দু’টি ব্রিজ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দা সুমিত দাসের কথায়, আশেপাশের নিচুজমিতে জমা জল এই ব্রিজের খাল দিয়েই কুলিক নদীতে গিয়ে মেশে। গত কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় জলের গতি বেড়েছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। এই ব্রিজ ভাঙলে চৈনগর ও বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের বহুদূর ঘুরে হেমতাবাদে যেতে হবে।
হেমতাবাদের বিডিও সুদীপ পাল বলেন, ব্রিজের বেহাল পরিস্থিতির কথা জানি। জেলা প্রশাসনকে সবটাই জানানো হয়েছে। এখনকার পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়া হবে।