উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
দুই একরেরও বেশি জমি দখল করে স্থানীয় এক বাসিন্দা চা বাগান বানিয়ে মুনাফা করছিলেন। বনদপ্তরের তরফে বারবার চেষ্টা করেও সেই জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সেই জমি পুনরুদ্ধার করে বনদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কয়েকদিন ধরে রাজ্যজুড়ে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি চিহ্নিতকরণ ও পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। তার মাঝে এদিন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বনবিভাগের এই জমি উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।
কারণ, এই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় জমি মাফিয়া রাজের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকায় দলের শীর্ষ নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। দল দেবাশিসকে বহিষ্কারও করেছে। তারমাঝে বনদপ্তরের এদিনের অভিযানে সর্বত্রই চর্চা শুরু হয়েছে, তাহলে এই বৈকণ্ঠপুর বনাঞ্চলে বনবিভাগের দখল হয়ে যাওয়া সব জমি পুনরুদ্ধার করা হবে। সেক্ষেত্রে অনেক দোকান বাজার, বসতি এবং চা ও আনারস বাগান উচ্ছেদ হবে।
বনবিভাগের ডাবগ্রামের রেঞ্জার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, ওই জমি এক ব্যক্তি বহুদিন আগে দখল করে চা বাগান বানিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে আমরা বনদপ্তরের থেকে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করি। দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলার পর অবশেষে হাইকোর্ট জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেয়। এপ্রিল মাসেই সেই নির্দেশ আমরা পাই। তারপর কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এদিন অভিযানে নামি। এই অভিযানে বনবিভাগের স্থানীয় পদস্থ আধিকারিকের পাশাপাশি বিশাল পুলিস বাহিনীও ছিল। তবে কোনও প্রতিরোধ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চা গাছ উপড়ে ফেলা হচ্ছে। যে জমি উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে গাছ লাগানো হবে।