কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে হলেও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্র ডাবগ্রাম-১ ও ২, ফুলবাড়ি-১ ও ২ এই চারটি পঞ্চায়েত এবং শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ওই চারটি পঞ্চায়েত নিয়েই গঠিত তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সাংগঠনিক ব্লক। এলাকার দাপুটে নেতাদের মধ্যে দেবাশিস অন্যতম। একবার তাকে দলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটের পর ফের ওই পদে বসানো হয়।
এছাড়া, দেবাশিস জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার নেতৃত্বেই এলাকায় জমির বেআইনি কারবার রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ। এবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারে তৃণমূল। দেবাশিস গ্রেপ্তার হওয়ার পরই স্থানীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের অভিযোগ, ধৃত ব্লক সভাপতির কারণেই এলাকার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। ধৃতের আস্ফালনের জেরেই স্বচ্ছভাবমূর্তির কিছু নেতা-কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। দলের ভাবমূর্তি উদ্ধারে এবং কেষ্টবিষ্টুদের বার্তা দিতেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
এই ব্যাপারে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ অবশ্য বলেন, দেবাশিসের গ্রেপ্তারের বিষয়টি দলের রাজ্য কমিটি বিস্তারিত জানে। এখন দলের রাজ্য কমিটি যা নির্দেশ দেবে, সেই মতোই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর বাইরে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অনেকদিনের। বিভিন্ন সময় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির নেতারা এই বিষয়ে দলের রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট করেছেন। এবার জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত অভিযানে নেমেছে পুলিস ও প্রশাসন।
তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে এখানে দলের শুদ্ধিকরণ হবে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে এর সাফল্য মিলবে বলেই আশা করছি। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সবাই দলের সৈনিক। মানুষের জন্য কাজ করছি। কিন্তু, দলীয় পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার দেবাশিসের গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে এনজেপি থানায় অভিযোগ করেন ডাবগ্রামের এক মহিলা। ওই মামলাতেই দেবাশিস সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এখনও মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে পুলিস ধরতে পারেনি। অভিযুক্তের তালিকায় তৃণমূলের আরএক হেভিওয়েট নেতা রয়েছে। পুলিসের সন্দেহ, অভিযুক্তরা বিহার সহ ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে।