কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার উত্তর মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার অভিষেক দে বলেন, ই-ভেহিকল চার্জিংয়ের জন্য এই নতুন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার রয়েছে তাঁরাও এই সুযোগ নিতে পারেন। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি বা রিক্সা কেনার রসিদ দেখিয়ে একটি পৃথক মিটারের জন্য আবেদন করা যাবে। ওই বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে শুধুমাত্র গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা যাবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচও বাড়ির জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতের তুলনায় কম হবে। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রচার শুরু করেছি। যাঁরা এই সুবিধা নিতে চান তাঁদের বিদ্যুৎ দপ্তরে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তবে চোরাপথে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি চার্জ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, লো টেনশন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে মালদহে। জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রায় সাত হাজার কিমি কেবল লাইন অনুমোদিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪০০ কিমি কেবল লাইন বসে গিয়েছে। এই লাইন পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা অনেকটাই কমবে। বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনার সংখ্যাও হ্রাস পাবে। দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার সোমেন দাস বলেন, জেলায় নতুন ১০টি সাব স্টেশনের প্রস্তাব রয়েছে। মানিকচকে একটি সাব স্টেশন প্রায় তৈরি। সাব স্টেশনগুলি চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও চাঙ্গা হবে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দক্ষিণ মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য বলেন, প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছিল। নতুন এবং অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার বসানোর পাশাপাশি জনবলও বাড়ানো হয়েছিল বেশ কিছু ক্ষেত্রে। দু’বছর আগেও তাপপ্রবাহের সময় যেখানে জেলায় দিনে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হত, এবছর তা বেড়ে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।