কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সোমবার দেবাশিসের ভাই আশিস প্রামাণিক বলেন, দাদা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই বাড়ির কেউ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। বউদি খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করছেন না। সকলেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। দলের থেকে কেউ খবরাখবর নিচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্ন শুনে তাঁর জবাব, এনিয়ে আমি আর কোনও কথা বলব না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেবাশিসের আশীর্বাদে টিকিট পেয়ে যারা জয়ী হয়েছিলেন, সেই পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানরাও এখন যেন তাঁকে চেনেন না। একদা ঘনিষ্ঠ থাকার কথাও মানতে চাইছেন না। দেবাশিস গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাতে শিলিগুড়ি থানার বাইরে জমায়েত করেছিলেন জনা কয়েক অনুগামী। সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা তৃণমূলের কিছু পঞ্চায়েত সদস্যকে ফোন করে পরের দিন গণপদত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু কেউই পদত্যাগ করেননি। বরং কোথায় কোথায় জমি দখলে তাঁদের ‘দাদা’র যোগ ছিল তা খুঁজে বেরাচ্ছেন তাঁরা।
ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুনিতা রায় সরকারের বক্তব্য, দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমাদের কাজে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। কোনও পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেনি। রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো এলাকার জমির ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। কোথাও নতুন করে জমি সংক্রান্ত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে না।
পঞ্চায়েত সদস্যদের এই ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন দেবাশিসের অনুগামীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, দেবাশিসকে যে অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই কাজে মদত দিতে যারা তাঁর মাথার উপর ছাতা ধরেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?