সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য ও নষ্টালজিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা হলং বনবাংলো অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে শতবর্ষ প্রাচীন বনবাংলোগুলি রক্ষণাবেক্ষণে বাড়তি নজর দিচ্ছে বনদপ্তর। গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে থাকা দু’টি রেস্টহাউস ছাড়াও এই দু’টি বনাঞ্চলের সাতটি ইকো-ট্যুরিজম কটেজের ফায়ার অডিট এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্সপেকশন করাবে জলপাইগুড়ি জেলা বনদপ্তরের বন্যপ্রাণ বিভাগ। ইকো-ট্যুরিজম কটেজে বৈদ্যুতিক লাইন পরিবর্তন করা হবে। বসানো হবে সোলার লাইন। ইতিমধ্যে, এ ব্যাপারে পূর্তদপ্তরের ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগ এবং জলপাইগুড়ি ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি পাঠিয়েছে বনদপ্তর। প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে পর্যটকদের জন্য তিনমাস জঙ্গল বন্ধ রাখা হয়। এই সময় বনবাংলোগুলির সংস্কার, নতুন করে চারাগাছ রোপণ ছাড়াও একাধিক কাজ হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে হলং বনবাংলোর ঘটনার পর গোরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে বনবাংলো ও ইকোট্যুরিজম কটেজগুলির সুরক্ষায় বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। জেলা বন্যপ্রাণ বিভাগের বিভাগ সূত্রে খবর, গোরুমারার বনবাংলোটি ১৯১৩ সালে এবং চাপড়ামারির বাংলো ১৯১৭ সালে তৈরি হয়। সেদিক থেকে দু’টি বাংলোই শতবর্ষ পার করেছে। যদিও প্রতিবছর বাংলোগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হয়। তবে হলংয়রে ঘটনার পর এ বিষয়ে আরও নজর দেওয়া হচ্ছে।
এদিন জলপাইগুড়ি জেল বন্যপ্রাণ বিভাগের বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন বলেন, গোরুমারা ও চাপড়ামারি বনবাংলো দু’টির সঙ্গে হলং বাংলোর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এখানে সোলার বিদ্যুৎ পরিষেবা চলে। কিন্তু তারপরও এই দু’টি বাংলোয় ফায়ার অডিট ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্সপেকশন করানো হবে। বাকি ইকো-ট্যুরিজম কটেজে সরাসরি বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্ত ইকো-ট্যুরিজম কটেজে সোলার লাইন বসানো হবে। ইলেক্ট্রিক্যাল ও ফায়ার অডিট বৈদ্যুতিক লাইন ঠিক আছে কি না, তা দেখা হবে। অডিট শেষে কী কাজ করতে হবে, সেই অনুসারে তৈরি হবে বাজেট। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জঙ্গল খোলার আগেই এই কাজ শেষ করা যাবে বলে আমাদের আশা।