কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের জলন্ত সমস্যাগুলির মধ্যে পানীয় জলের সঙ্কট অন্যতম। পুরসভার ক্ষমতা কব্জা করেই এই সমস্যা মেটাতে তৎপর হয় তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে তৃণমূল শাসিত পুরবোর্ড মেগা জল প্রকল্পর প্রথম পর্যায়ের কাজে হাত দিয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার কলকাতায় যান মেয়র। সোমবার পুরমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর শহরের জলসঙ্কট নিয়ে বামফ্রন্ট শাসিত গত পুরবোর্ডকে নিশানা করেন মেয়র। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর শিলিগুড়ি পুরসভা দখলে রেখেছিল বামফ্রন্ট। তারা পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে বিকল্প ইনটেক ওয়েল এবং পন্ড তৈরি করতে পারেনি। ওদের ব্যর্থতার জেরেই শহরবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। ইনটেক ওয়েলে পলি জমলেই জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
এবার সেই সমস্যা মেটানো হচ্ছে বলে দাবি করেন। মেয়র বলেন, আগামী একমাসের মধ্যে ফুলবাড়িতে বিকল্প ইনটেক ওয়েল চালু করা হবে। যার নির্মাণ প্রায় শেষ। প্রকল্পটি চালু হলে একটি ইনটেক বন্ধ হলেও নতুন ইনটেক থেকে জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ শহরের জল সরবরাহ ব্যাহত হবে না। আগামী তিনমাসের মধ্যে তৈরি করা হবে বিকল্প জলাশয়। যারজন্য প্রায় আট একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। কাজেই ৪০ বছরের জমে থাকা সমস্যগুলি তিনমাসের মধ্যে মেটাতে চলেছি। তিস্তা ক্যানেলের জলের উপর নির্ভর করেই ফুলবাড়িতে জল প্রকল্প গড়ে বামফ্রন্ট। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প থেকে দিনে সরবরাহ করা হয় ৫৫ মিলিয়ান লিটার জল। কিন্তু, শহর দৈনিক জলের চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ান লিটার। এই সঙ্কট মেটাতেই ৫১৮ কোটি টাকায় মেগা জল প্রকল্প তৈরির কাজে হাত দিয়েছে পুরসভা। মেয়র বলেন, ২০২ কোটি টাকা খরচ করে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে গজলডোবায় তিস্তা নদীতে ইনটেক, জেটি, পাওয়ার হাউস প্রভৃতি তৈরি করা হবে। সেই কাজ চলছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন জলের প্লান্ট, রিজার্ভার, নতুন পাইন লাইনপাতার কাজ হবে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ নিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেই রিপোর্ট আম্রুত সেলে পাঠানো হয়েছে। তারা অনুমতি দিলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া হবে। এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর শহরে জলের কোনও সমস্যা থাকবে না। এছাড়া পুরমন্ত্রীর সঙ্গে এসটিপি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, এসটিপি’র কাজ কেএমডিএ করবে। দ্রুত সেই কাজে হাত দেওয়া হবে।
এদিকে, শহরের জল সমস্যা নিয়ে মেয়রের বক্তব্য মানতে নারাজ সিপিএম। পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলার তথা জল সরবরাহ বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য শরদিন্দু চক্রবর্তী বলেন, একদা শহরবাসী কুয়োর জল পান করতেন। বিগত বামফ্রন্ট সরকারই এখানে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। কিন্তু, ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও এই শহরে মেগা জল প্রকল্প গড়তে পারেনি তৃণমূল। বরং শহরবাসীকে মহানন্দা নদীর দূষিত জল খাইয়েছেন। কাজেই ভাষণ বন্ধ করে বর্তমান বোর্ড কাজ করে দেখাক।