বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা দিবারাত্র খোলা রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে বা দুর্ঘটনায় পড়লে হাসপাতালে আনা যেতে পারে। চিকিৎসকরা সবসময় পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ইংলিশবাজার শহরের একটি স্ক্যান সেন্টারের ম্যানেজার বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান লকডাউনের মাঝেও খোলা রয়েছে। চিকিৎসকরাও নিয়মিত বসছেন। তবে ট্রেন-বাস না চলায় দূরদূরান্তের রোগীরা আসতে পারছেন না। অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক কম। কোনও কোনও দিন রোগী থাকছে না বললেই চলে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, বাসিন্দাদের একাংশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সারাবছর এড়িয়ে চলেন। ভিড় এড়ানোর জন্য তাঁরা বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে যান। যদিও কারও বাড়াবাড়ি হলে নার্সিংহোমগুলি শেষে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই রোগীদের রেফার করে। বছরের অন্যান্য সময় সামান্য শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসকদের চেম্বারেই রোগীদের একাংশ যান। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে অনেকেই জ্বর-সর্দিতেও হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। অতীতে তাঁরা এইধরনের রোগ থেকে মুক্তির জন্য হাসপাতালে আসেননি বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন।
ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা উর্মিলা সাহা বলেন, শহরের একটি স্ক্যান সেন্টারে এক চিকিৎসক বসেন। বারো মাস সেখানেই আমরা চিকিৎসা করাই। তিনদিন আগে আমার ১০ বছরের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাথা যন্ত্রণা এবং জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। বিকেল ৫টা নাগাদ সংশ্লিষ্ট সেন্টারে যোগাযোগ করি। ওইসময় সেখানে কোনও চিকিৎসক নেই বলে জানানো হয়। রাতের মধ্যে কোনও চিকিৎসক আসবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
শহরের বাসিন্দা অরিন্দম সাহা বলেন, অন্যান্য সময় কয়েকজন চিকিৎসক বাড়িতেও চিকিৎসা করতে যান। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বাড়িতে যাচ্ছেন না। বেশি টাকা নিয়ে প্রথম দিকে কেউ কেউ বাড়িতে ভিজিটে যাচ্ছিলেন। কিন্তু জেলায় পরিযায়ী শ্রমিক ঢোকার পর করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়েও কোনও চিকিৎসক বাড়িতে যাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, আমি অন্যান্য সময় বাড়িতে রোগী দেখি। কিন্তু জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ বাড়িতে আমার তিন বছরের শিশু সন্তান রয়েছে। ফলে আপাতত বাড়িতে রোগীদের যাতায়াত বন্ধ করেছি। তবে আমার কাছে সারাবছর চিকিৎসা করান এমন পরিবারের অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ফোন করছেন। বাইরে কোথাও চেম্বার করা যায় কিনা, তা দেখছি।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বা প্যাথলজি সেন্টার জরুরি প্রয়োজনে খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। মানুষের বিপদে মালিকরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতে পারেন না।