বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে সাফাই কর্মীরা তাঁদের সংগঠনের ব্যানারে হাসপাতালের সামনে আন্দোলন বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। আন্দোলনকারী সাফাই কর্মীদের সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, ওই সাফাই কর্মীকে পুনরায় কাজে বহাল করে তাঁর বেতন চালু করতে হবে। এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় তাঁরা আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাবেন বলে দাবি করেন।
মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, আন্দোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। কিসের ভিত্তিতে ওই সাফাই কর্মীরা আন্দোলন করেছেন সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন সকাল আটটা থেকে হাসপাতালে সাফাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে এদিন রোগী পরিষেবা ব্যাহত হয় বলেও অভিযোগ। হাসপাতালে আরও সাত জন সাফাই কর্মী রয়েছেন। তাঁরাও সমস্ত কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে শামিল হন। স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে লেবার রুম, মেল ও ফিমেল ওয়ার্ড, এমার্জেন্সি রুম, আউটডোর বিভাগ সহ হাসপাতালে চত্বরের সর্বত্র এদিন আবর্জনা পড়েছিল। আবর্জনার মধ্যে অনেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে সাফাই কর্মীদের বিক্ষোভে হাসপাতালে সাফাই ঠিকঠাক না হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নর্থ বেঙ্গল বাসফোড় হরিজন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের ব্লক সম্পাদক মিঠুন মল্লিক বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের এক সহকর্মীকে অকারণে কাজ থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে দু’মাসের মাইনে দেওয়া হয়নি। কি কারণে বাদ দেওয়া হল, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর মিলছে না। আমাদের দাবি ওই সাফাই কর্মীকে পুনরায় কাজে বহাল করতে হবে। না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে সদুত্তর দেয়নি আমাদের। সমস্যা না মিটলে সমস্থ সাফাই কর্মীরা কাজ বন্ধ রেখে হাসপাতালে অচলাবস্থা তৈরি করবে।
ছাটাই হয়ে যাওয়া সাফাই কর্মী লক্ষ্মী ডোম বলেন, তিন বছর ধরে হাসপাতালে কর্মরত ছিলাম। মাসখানেক আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটি নিই। সেব্যাপারে আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। পরে কাজে যোগ দিতে এলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছি। কর্তৃপক্ষ কাজে ফিরিয়ে না নিলে আমাদের পরিবারের সকলকে অনাহারে মরতে হবে।