বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে দেগুন নয়াটোলা মাঠে মাটির তলা থেকে এক মৃতদেহের হাত বাইরে বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। সম্ভবত কোনও পশু মাটি খুঁড়ে মৃতদেহটি বের করে আনে। সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় স্থানীয় কৃষকদের তা নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হুলুস্থুলু পড়ে যায় এলাকায়। ওই চাষিরাই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা পুলিস ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়েই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চাঁচল মহকুমা পুলিস আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা সহ পুলিস ও প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের এলঙ্গি গ্রামের মাঠে এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃতদেহ পোঁতা ছিল। এদিন সকালে গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেন। হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ ব্লকের বিডিও সহ আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। মৃতার পরিবারের সদস্যরা পোশাক দেখে দেহ চিহ্নিত করেন। মৃতের পরিবার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুমান, প্রেমের জেরেই ওই কিশোরীকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চাঁচল মহকুমার পুলিস আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেব্যাপারে খোঁজ চলছে।
মৃত ছাত্রীর মা বলেন, গত ১৮ মে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। আমরা আশেপাশে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। তখন গত ২২মে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। মেয়ের সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে জানতে পেরেছি। মেয়েকে নিষেধও করেছিলাম। আমাদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকে। এদিন সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ ব্লকের মাঠে একটি ধানের জমিতে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানতে পারি। মৃতদেহটির পোশাক দেখে আমার মেয়ে বলে চিহ্নিত করেছি। এদিন আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণেই আমার মেয়েকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
মৃতের দাদা বলেন, আমার বোন নয়দিন ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। বোনকে খুঁজতে পুলিসের কাছেও গিয়েছিলাম। এদিন বোনের মৃতদেহ পেলাম। আমরা বোনের খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।